বগুড়ায় শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আটককৃত ছেলেকে উদ্ধারে বাধা দেয়ায় যুবককে খুন
- গাবতলী (বগুড়া) সংবাদদাতা
- ০৬ আগস্ট ২০২০, ২০:৫৭
বগুড়ার গাবতলীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আটককৃত ছেলে রিফাতকে (১৪) উদ্ধার করতে বাধা দেয়ায় টিপে ধরে কনুই দিয়ে আঘাত করে অমৃত্য চন্দ্র রায়কে (৩২) হত্যা করে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে এনামুল প্রামানিকের (৪৫) বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের পারকাঁকড়া ভাংড়ীরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের পারকাঁকড়া ভাংড়ীরপাড়া গ্রামের শ্রী অনিল চন্দ্র রায়ের ছেলে উজ্জল চন্দ্র রায়ের (৩৫) স্ত্রী শিউলি রানীকে (৩০) একই গ্রামের এনামুল প্রামানিকের (৪৫) ছেলে রিফাত পিছন থেকে দু’হাত দিয়ে জাপটে জড়িয়ে ধরে। এ সময় শিউলি রানী রিফাতের হাত থেকে ছাড়াতে জোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে চিৎকার দিতে থাকেন। এতে আশপাশের লোকজন দৌঁড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং রিফাতকে ধরে আটকে রাখে।
রিফাতকে আটকে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলে ৫শ’ টাকার বাজী ধরে এ কাজ করেছি। রিফাত স্থানীয় সুখানপুকুর এমআরএম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। রিফাতকে আটকে রাখার খবর পেয়ে তার বাবা এনামুল প্রামানিক লোকজন নিয়ে ছেলে রিফাতকে উদ্ধার করতে এসে ঐ বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে রিফাতকে ছিনিয়ে নেয়ার সময় উজ্জল চন্দ্র রায়ের ছোট ভাই ও শিউলি রানীর দেবর অমৃত্য চন্দ্র রায় এনামুলকে বাধা দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গলা টিপে হত্যা করে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এতে অমৃত্য চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীন এবং অপারেশন ওসি লাল মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ ঘটনায় নিহতের পিতা অনিল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে গাবতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গাবতলী মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীন জানান, ময়না তদন্ত শেষে অমৃত্য চন্দ্র রায়ের হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে এবং এ হত্যার ঘটনা ঘটার পর থেকেই জড়িতদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা