চলন বিলে অবাধে চলছে পোনা মাছ শিকার
- লুৎফর রহমান, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
- ০৩ আগস্ট ২০২০, ১১:০৩, আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২০, ১১:৩৩
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চলন বিলে অবাধে মশারি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন চলছে। এছাড়াও মৎস্য অফিস থেকে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাও শিকার করা হচ্চে। এদিকে করোনাকালীন অলস সময় কাজে লাগিয়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাছ শিকারের প্রবণতা আরও বেড়েছে।
চলবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুমানী, আত্রাই, গুড়, করতোয়া, বড়াল, ভদ্রাবতীসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিল এখন বর্ষার পানিতে টইটুম্বুর। বর্ষার পানি আসার সাথে সাথে মৎস্য ভান্ডার খ্যাত দেশের মিঠাপানির মাছের সবচেয়ে বড় উৎস এই বিলে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি দিয়ে তৈরি নেট জাল, বেড় জাল, বাদাই জালসহ নানা উপকরণ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনে মেতে ওঠেছে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি। টাকি, টেংরা, মোয়া, শিং, মাগুড় এমন কি মৎস্য অফিস থেকে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধরতেও দ্বিধাবোধ করছে না তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারেও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে ধরা এসব দেশীয় প্রজাতির মাছ। প্রতি কেজি টেংরা তিনশ থেকে চারশ, মোয়া মাছ দুইশ থেকে তিনশ, ডিমওয়ালা মাগুড় ছয়শ থেকে এক হাজার, টাকি মাছের পোনা দুইশ থেকে তিনশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি বছরের মতো এবারো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। অসাধু মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয় হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা