রাজশাহীতে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ১৫

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফেরদৌসী বেগম (৫৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফেরদৌসী তিয়াড়কুড়ি গ্রামের জব্বারের স্ত্রী।

আহতরা হলেন রুজুফা (৩২), মামুনুর রশিদ (৩৫), আবুল কালাম (৪৮), শাকিব (১৮), জায়েদা (৪০), জাহানারা (৪৫), শাহিনুর রহমান (৪০) সাইদুল রহমান (৩৫), সাইনুল (৪৫) ও রাজিয়া (৫০)।

তাদের মধ্যে সাইদুর (৩৫), জিন্নাত আলী (৫০), জব্বার (৫৫), জেসমিন (৩৫) ও আলমের (৪৮) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর গ্রামের বিএনপির কর্মী মামুনুর রশিদের সাথে একই গ্রামের দেলুয়াবাড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রেন্টুর সাথে বিএনপিকর্মী মামুনুর রশিদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামুন ও চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিয়াজুল ও মামুনের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজুলের পক্ষের জব্বারের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজিম উদ্দিন বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: দুরুল হোদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।