অবিলম্বে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান

অবিলম্বে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে মন্তব্য করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘নইলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। একে একে সব রাজনৈতিক নেতাদের খালাস দেয়া হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনার ষড়যন্ত্রের শিকার তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল নিরপরাধ এ টি এম আজহারুল ইসলামকে এখনো মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দেয়া হয়নি।’

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উল্লাপাড়া কামিল মাদরাসা মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যুব বিভাগ উল্লাপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে যুব সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম মানুষের ক্রয় সীমার ঊর্ধ্বে, ফ্যাসিস্ট আমলের সিন্ডিকেট অন্তর্বর্তী সরকার ভাঙতে ব্যর্থ হচ্ছে অনতিবিলম্বে এই সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলুন। দ্রব্যমূল্যের দাম জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসুন। যারা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না হাজার হাজার শহীদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে আপনারা বাংলার মসনদে বসেছেন। বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করুন। জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদেরকে মূল্যায়ন করুন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থেকে কমপক্ষে একজনকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করুন। জুলাই বিপ্লবে যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন।’

যুবকদের উদ্দেশে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকের যুব সমাজকে আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। তোমাদের সিদ্ধান্তেই হবে আগামীর বাংলাদেশ, আলোকিত বাংলাদেশ, সমৃদ্ধির বাংলাদেশ।’

উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সেক্রেটারি এস এম আলামিন হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শাহ্জাহান আলী, সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল করিম প্রমুখ।