২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

‘একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে’

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেছেন, ‘একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে।’

আজ শুক্রবার সকালে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার উদ্যোগে নগরীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াতের মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য ও রাজপাড়া থানা আমির নুরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানার নায়েবে আমির মাওলানা আজমল হক খান, থানা সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেন, ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন ছিল নিজ ভাষায় কথা বলার অধিকারের আন্দোলন। তমুদ্দুন মজলিস ও ছাত্রদের অনঢ় আন্দোলনের কারণে ৫২-এর রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তৎকালীন সরকার বাংলাকে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করেছে। এটা ভাষা শহীদদের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলা ভাষাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বিজাতীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সকল আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। একুশের মূল চেতনা অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা। ভাষা আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি ও রাষ্ট্রকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে। সমাজকে পরিপূর্ণভাবে পরিবর্তন করতে হলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের হাতে তুলে দিতে হবে। তা না হলে সত্যিকারভাবে মানুষের কোনো কল্যাণ হবে না।’ মাওলানা কেরামত আলী একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

আবু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আলোচনা করতে গেলেই অধ্যাপক গোলাম আযমের কথা সামনে আসবে। তিনি ১৯৪৮ সালে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।’ তিনি প্রিন্সিপ্যাল আবুল কাশেম, অধ্যাপক গোলাম আজম, দেওয়ান মোহাম্মাদ আজরফ, রুহুল হক ভূঁইয়াসহ সকল ভাষা সৈনিকদের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘যারা ইসলামী ধ্যান ধারণা লালন করেন, তারাই ভাষা আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন। অথচ আজকে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনে যাদের কোনো সম্পর্কই ছিল না, তাদেরকে সামনে আনা হচ্ছে। ইতিহাস বিকৃতির এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে : ভিসি ড. আমানুল্লাহ বিচার বিভাগ সংস্কার কার্যক্রমে একটি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে : প্রধান বিচারপতি এ বছরের মধ্যেই নির্বাচন শেষ করুন : মাহবুব উদ্দিন খোকন ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ, বড় চ্যালেঞ্জের মুখে অস্ট্রেলিয়া মালয়েশিয়ায় ১৩ দেশের শিল্পী ও নাগরিকের অংশগ্রহণে মাতৃভাষা দিবস পালন ডিভাইস আসক্তি থেকে ফেরাতে রাজধানীতে শিশুমেলা সুনামগঞ্জে যুবলীগ নেতা গ্রেফতারে বিএনপির দু’পক্ষের উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে : নৌ পরিবহন উপদেষ্টা আউটসোর্সিং কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামানে ছত্রভঙ্গ বাতিল হওয়া কাতার ফ্লাইটের নতুন সময় জানাল বিমান বাংলাদেশ মার্চে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আবার বসবে ঐকমত্য কমিশন

সকল