'বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি অরক্ষিত'
- রাজশাহী ব্যুরো
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪১
বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি অরক্ষিত মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেছেন, ‘৮ ফাল্গুন ভাষা শহীদরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় যে আত্মোৎস্বর্গের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।’
তিনি বলেন, ‘জাতির যুবক এবং তরুণেরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলে ভাষার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করে এই আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। বাংলা ভাষার মর্যাদা ও নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষায় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরী আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের রাজশাহী মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার, তৌহিদুর রহমান সুইট, মজলিসে শুরা সদস্য নুরুল ইসলাম মনি, ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর সিদ্দিক, অধ্যাপক মোজাম্মেল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ড. কেরামত আলী বলেন, ‘যে কোনো জাতির সভ্যতা নির্মাণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, দেশপ্রেমিক সাহসী পুরুষরা ইতিহাস রচনা করে যায়। ভাষার জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন, তারা প্রায় সকলেই ছিলেন মুসলিম ছাত্রনেতা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আলোচনা করতে গেলেই অধ্যাপক গোলাম আযমের কথা সামনে আসবে। তিনি ডাকসুর জিএস ছিলেন এবং ১৯৪৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। অথচ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সঠিকভাবে সামনে আসতে দেয়া হয়নি। বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, ইতিহাস ছিনতাই করা হয়েছে। আজকে এই প্রজন্মের দায়িত্বই হলো ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সঠিক ইতিহাসকে তুলে ধরা।’
আবু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘আজকে ইতিহাস বিকৃত হয়ে যাচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে আলোচনায় আনা হচ্ছে না। ভাষা আন্দোলনে যাদের কোনো সম্পর্কই ছিল না, তাদেরকে সামনে আনা হচ্ছে। আর যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদেরকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।’