২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি দুই শতাধিক আসন পাবে : দুলু

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনকে কিভাবে দীর্ঘায়িত করা যায় সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কেননা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ২০০’র বেশি আসন পাবে। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর শহরের আলাইপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি ও কর্মিসভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আরো বলেন, ‘বিগত ৪৬ বছর দলের নেতাকর্মীদের দুঃখে-কষ্টে পাশে থেকেছি একদিনের জন্যও ছেড়ে যাইনি। আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা সরাসরি নাটোর নিয়ন্ত্রণ করতো। হাসিনার নির্দেশ ছিল দুলুকে যেকোনো মূল্যে সাইজ করতে হবে। অথচ দলের সুদিনে যাদের বিগত সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামে দেখা যায়নি এমন সুযোগসন্ধানি অনেকে দলে আসার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের অপচেষ্টা নাটোরের জনগণ রুখে দিবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, ‘১৭ বছর বিএনপির কর্মীরা কষ্ট করেছে। এমন কোনো নেতাকর্মী নাই যার শরীরে ক্ষত চিহ্ন নেই। আমাদের শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল করার কারণে চাকরি পর্যন্ত পায়নি। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ক্ষমতার পালা বদলে পাঁচ লাখ লোক মারা যাবে, যেতোও তাই। কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন কারো উপর হামলা করা যাবে না। আমাদের কর্মীরা না খেয়ে রয়েছে তাও আওয়ামী লীগের ওপর থাবা দেয়নি।’

‘তারেক রহমান নির্দেশ দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, হাইজ্যাকারের সাথে, দখলদারদের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা বিএনপির জন্ম-ই হয়েছে ভোট চোর, রিলিফ চোর, কম্বল চোরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য,’ বলেন আব্দুস সালাম।

তিনি আরো বলেন, ‘যারা জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বদান্যতায় রাজনীতি করে আজকে যারা অনেক উপরে উঠেছেন তারাও দেখছি বিএনপির সমালোচনা করছেন। কিন্তু আমার নেতা তারেক রহমান তাদের সমালোচনা করে না, আমরাও করি না। এই দেশ এবং গণতন্ত্রকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে আন্দোলনকারী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ এই লড়াইটা শুধু দেশের লড়াই না, আন্তর্জাতিকভাবেও লড়াই। কাজেই আধিপত্যবাদী শক্তিকে যদি মোকাবেলা করতে হয় ঐক্যের বিকল্প নেই।’

‘আমরা দাবি করি শহীদ জিয়ার কর্মী আমরা। অথচ তিনি শহীদ হওয়ার আগে ঢাকায় তার কোনো বাড়ি-গাড়ি ছিল না, ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না। আর শেখ মুজিব তার পরিবারের জন্য ৩২ নম্বরে রেখে গেছেন সোনার মুকুট। হাসিনা ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তা বলতো। সেজন্য পেছনের দরজা দিয়ে এক কাপড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে, সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে বিএনপি। তাই সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আগামীর প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান,’ বলেন আব্দুস সালাম।

নবগঠিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, আব্দুল আজিজ, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীনসহ নবগঠিত কমিটির নেতারা।


আরো সংবাদ



premium cement