০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১, ৪ শাবান ১৪৪৬
`

রাবিতে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আটক

গ্রেফতার হওয়া আসামি মো: ফেরদৌস রহমান ফরিদ - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও বিভিন্ন আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানো ঘটনার মূলহোতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ওয়েবসাইটে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম মো: ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালূকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো: মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। ঘটনার পরে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যায় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখ্শ হল, মতিহার হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআন শরীফের এরূপ অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় একটি মামলা করে।

এতে আরো বলা হয়েছে, মামলা রুজু পরবর্তীতে আরএমপির পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নির্দেশনায় আরএমপির মতিহার থানা পুলিশের পাশাপাশি আরএমপি সিটিটিসি এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটি চৌকস টিম মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তকার্যের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্য স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

এরপর আরএমপি সিটিটিটি বিভাগ ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি সমন্বিত অভিযানিক দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)-এর সহায়তায় ফেরদৌস রহমানকে ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ফেরদৌস রহমান ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে। অভিযুক্ত ফরিদের বক্তব্যসহ অন্য বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী আইনিপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement