দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫
উত্তরের জনপদ দিনাজপুরে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় জনজীবনে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা মো: তোফাজ্জল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার প্রবাহিত হচ্ছে। এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায়, শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। দিনাজপুরে আগামী দু-তিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার থেকে আবারো মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। একইসাথে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর অঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন। এক সপ্তাহ দেশজুড়ে এ শৈত্ প্রবাহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
আবহাওয়া অধিদফতরের সূত্রটি বলেছেন, শৈত্যপ্রবাহ শুরুর আগে দেশের উত্তরাঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পরপরই আবার তাপমাত্রা কমতে পারে। তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। রংপুর, বিভাগের কোথাও তাপমাত্রা ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন।
শীতের তীব্রতা নিবারণে শহর ও গ্রামাঞ্চলের গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। বাজার থেকে সব ধরনের মানুষ নিজেদের চাহিদামতো গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন।
জেলায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন শ্রেণী পেশা, সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে শীত বস্ত্র বিতরণ চলমান রয়েছে।
দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজা হুমায়ূন ফারুক চৌধুরী শামীম জানান, তাদের পক্ষ হতে গত কয়েকদিনে প্রায় সাত হাজার পিস কম্বল ও পাঁচ হাজার পিস সুয়েটার জ্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক ও মনজুরুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছেন।
এছাড়া জেলায় ডাচ বাংলা ব্যাংকসহ অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংক শীত বস্ত্র বিতরণ করছে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার পিস কম্বল ও ১৫ হাজার পিস সুয়েটার-জ্যাকেট এবং শিশু পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আরো শীত বস্ত্র চাহিদায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে ই-মেইল বার্তা পাঠানো হয়েছে। তিনি বিত্তবান ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলায় শীতার্তদের মাধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা