সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৮
- সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৬
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জোড়া খুনের মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম দুলাল ও পেশকার আব্দুল মমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় যাবজ্জীবন দেয়া আটজনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের হাসানুর রহমান হাসু, মো: কাওসার আলী, মো: মোয়াজ্জেম হোসেন রিন্টু ও জাহিদুল ইসলাম জালিম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের মো: মোতালেব, রেজাউল, সাদ্দাম, মনির হোসেন, আশরাফ আলী, বেল্লাল হোসেন, দুলাল হোসেন ও আব্দুল আওয়াল। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের সাইফুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি সকালে সাইফুল ইসলাম তার ভাই সোনা মিয়া, আবুল কালাম, মকবুল হোসেনসহ অন্যরা বাড়িতে বসে ছিলেন। এ সময় আসামি হাসানুর রহমান হাসুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা মকবুল হোসেন, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম ও সোনা মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়া তাদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম ৫১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রোববার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা