রাজশাহীতে এক লাখ লোককে টিসিবির কার্ড দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
- রাজশাহী ব্যুরো
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২০
বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আমাদের টার্গেট হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে কিছুটা স্বস্তি পৌঁছে দেয়া। রাজশাহী জেলায় এক লাখ জনগোষ্ঠীকে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য কেনার কার্ড দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের মধ্যে অন্তত এক কোটি প্রকৃত দরিদ্র জনগণকে আমরা এর আওতায় আনতে চাই।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয় অংশীজনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে দরিদ্র সবাইকে টিসিবি কার্ড দেয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উপযুক্ত উপকারভোগী নির্বাচন করে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার ব্যবস্থা করবে। সর্বোপরি, সুবিধাভোগীদের নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা আনতে হবে। প্রকৃতপক্ষে যারা টিসিবি কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই দেয়ার ব্যবস্থা করে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আসন্ন রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বলেন, রমজান সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকায় বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে।
জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা ইকবাল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার আক্তার জামীল, আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম। অন্যদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, টিসিবি ডিলার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একটি পরিবার যেন একটির বেশি কার্ড না পায় সে জন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড তৈরির কার্যক্রম চলমান আছে উল্লেখ করে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা ইকবাল বলেন, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কার্ডে অনিয়ম ধরা পড়লে তা বাতিল করা হবে। বাকি ৪৩ লাখ কার্ডের বিষয়েও কাজ চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা