পাওনা টাকা চাওয়ায় চা দোকানির হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ
- বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০৩
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় গরম পানি ঢেলে প্রতিবন্ধী এক চা দোকানি আব্বাস আলী মণ্ডলের (৭৭) হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিক হাসান বিদ্যুৎ-এর বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের সান্ন্যালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিদ্যুৎ একই এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে।
চা দোকানি আব্বাস আলী জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে বন্ধু-বান্ধবসহ বিদ্যুৎ তার দোকানে এসে চা-বিস্কুট খায়। পরে পাওনা টাকাসহ চাওয়ায় সে তার উপর চড়াও হয়ে আবোল-তাবোল বলতে থাকে। একপর্যায়ে কেটলিতে থাকা গরম পানি তার হাতে ঢেলে দেয় ও মারধর শুরু করে এবং দোকানের চায়ের কাপগুলোও সব ভেঙে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সে এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আব্বাস আলী আরো বলেন, এর আগেও দোকান বাকির টাকা চাওয়ায় কয়েকবার বিদ্যুৎ তাকে মারধর করেছে এবং দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। দলের প্রভাব থাকায় তার কোনো বিচার হয়নি। তাই এবার বিদ্যুৎ-এর বিচার দাবি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কলাবাড়িয়া এলাকার বাবলু শেখ বলেন, টাকা চাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কেটলির গরম পানিতে আব্বাস আলীর হাত ঝলসে যায়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আতিক হাসান বিদ্যুৎ বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বরং তার দিকেই কেটলির গরম পানি ছোঁড়া হয়েছিল। ওই পানি তার হাতে পড়েছে। আর ওই দোকানদার তার নিকট থেকে বকেয়া কোনো টাকা পেতোনা।
ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এএসএম লেলিন বলেন, বিদ্যুৎ খুব খারাপ প্রকৃতির ছেলে। সে সবসময় মারামারি নিয়েই থাকে। তার নামে মারামারির কয়েকটি মামলাও রয়েছে। বাকির টাকা চাওয়ায় আব্বাস আলীকে এর আগেও সে কয়েকবার মারধর করেছে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল হক বলেন, ঘটনা শোনার পরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, বিদ্যুৎকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা