নাটোরে সাবেক মন্ত্রী পলকসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে জামায়াতের মামলা
- নাটোর প্রতিনিধি
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৮
নাটোরের নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলায় জামায়াতের নেতাকর্মীদের মাইক্রোবাসে অপহরণ করে হাতুড়ি পেটার ঘটনায় ৪৪ জনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নলডাঙ্গা ও সিংড়া থানায় এই মামলা দু’টি করেন জামায়াতের নেতারা।
নলডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফজলুর রহমান সাবেক এমপি শিমুলসহ ১৫ জনের নামে এবং সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘি ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকসহ ২৯ জনের নামে মামলার আবেদন করেছেন।
মামলায় ডা. ফজলুর রহমান উল্লেখ করেন, গত বছরের ২৬ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। তখন পথরোধ করে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃতভেবে রাস্তায় ফেলে রাখেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এখনো তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।
অপর দিকে আব্দুর রাজ্জাকের করা মামলায় বলা হয়, বাদী একজন ইসলামী আলোচক। তিনি উপজেলার ছাতারবাড়িয়া শাহী জামে মসজিদের জালসায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় উপস্থিত প্রধান অতিথি তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী পলক ১৫ আগস্টে নিহতদের নাম ধরে দোয়া করার নির্দেশ দেন। তিনি সেটা না করায় তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে পলকের নির্দেশে গত বছরের ১০ নভেম্বর দুপুরে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় আসামিরা।
মাইক্রোবাসের মধ্যেই হেলমেটবাহিনীর সদস্যরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে গুরুতর জখম করে। পরে অচেতন অবস্থায় মৃতভেবে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রামের একটি পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে যায়। তার মামলায় পলক ছাড়াও পলকের শ্যালক অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেল এবং সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ও চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভোলাকে আসামি করা হয়েছে।
কোনো কারণ ছাড়াই রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশে নির্যাতনের তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন ডা. ফজলুর রহমান ও আব্দুর রাজ্জাক। মামলা দায়েরের সময় উপজেলা জামায়াতের নেতারা ছাড়াও জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম রাসেল উপস্থিত ছিলেন।