বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পেতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে : সাকি
- রাজশাহী ব্যুরো
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৫
বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পেতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করতে হবে। আইনের সংস্কার করতে হবে। আর তার ভিত্তিতে এমন নির্বাচন ব্যবস্থা আয়োজন করতে হবে, যাতে বাংলাদেশে আর কেউ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। নতুন নির্বাচন কমিশন হয়েছে। আপনারা (নির্বাচন কমিশন) এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যাতে আর কেউ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র যদি পেতে হয়, তাহলে আমাদের একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে। তার ভিত্তি হবে গণতান্ত্রিক সংবিধান।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদ চত্বরে গণসংহতি আন্দোলনের জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ এক গণসংলাপে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নতুন সংবিধানে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে নির্বাহী বিভাগ থেকে। সরকার যেন বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম খবরদারি করতে না পারে। গণমাধ্যম স্বাধীন করতে হবে, যাতে আদালতের মতোই জনগণের আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে গণমাধ্যম।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বাকশাল ছিল ১৯৭২-এর সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামোর ধারাবাহিকতা। যেমনটা শেখ হাসিনা বাকশাল ২.০ তৈরি করতে গিয়েছিলেন ওই একই সংবিধানে। তিনি ভেবেছিলেন, গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল চলবে। সেটাই তিনি কায়েম করতে চেয়েছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী সংবিধান হতে হবে এ দেশের সমস্ত নাগরিককে সমান মর্যাদা দিয়ে। সেই নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক না কেন। ধর্মীয় পরিচয় কিংবা জাতিগত মর্যাদা দিয়ে নাগরিকের মর্যাদা ঠিক হবে না। নাগরিকের মর্যাদা দিয়েই তার মর্যাদা ঠিক হবে। কোনো লিঙ্গ পরিচয় কিংবা অন্য কোনো কিছু দিয়ে নাগরিকের অধিকার হরণ করা যাবে না। নারী-পুরুষ প্রত্যেকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সংসদের ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে। রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে। তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘ বাংলাদেশের মানুষ একটা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করেছেন। তারা নতুন রাজনৈতিক শক্তি দেখতে চান। কিন্তু আমাদের সেই রাজনৈতিক শক্তি আছে? আমরা কী ছাত্র-জনতাকে এখনো ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পেরেছি? কাজেই আগামী নির্বাচনের আগেই আমাদের জনগণের রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
গণসংলাপে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ।
বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।
গণসংলাপ সঞ্চালনা করেন জেলার সদস্য সচিব জুয়েল রানা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের মধ্যে মতামত প্রদান করেন নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, ইতিহাসবিদ ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাজ প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা