সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতে সুজনের সুপারিশ
- রাজশাহী ব্যুরো
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৫৬
সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত ও জন-আকাঙ্ক্ষা ভিত্তিক সুপারিশমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সুজনের রাজশাহী জেলা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্কার কমিশনের কাছে এ দাবি জানানো হয়।
এতে সুজনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুজন রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম মাসুদ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় সুজনের রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি সফিউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংস্কার কমিশনসমূহের কাছে তাদের প্রত্যাশা হলো সুপারিশমালায় যেন জন-আকাঙ্ক্ষাগুলো গুরুত্ব পায়। সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তাদের পক্ষে বিভিন্ন সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে এ ব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধকরণের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়ন, নিয়োগ আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে সৎ, যোগ্য, নিরপেক্ষ ও সাহসী ব্যক্তিদের স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেয়া, নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত সকল জনবল নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিটিকে আহ্বান জানানো।
সংবিধান সংস্কার কমিটি, যেন এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তনেরও সুপারিশ করে, সেই ব্যাপারে তাদের প্রতি আহ্বান জানানো।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে
নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
উচ্চকক্ষের জন্য নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চকক্ষকে পেশাভিত্তিক পার্লামেন্টের রূপ দেয়া।
এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দু’বার প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না এমন বাধ্যবাধকতা (টার্ম লিমিট) সৃষ্টি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার করা এবং সংবিধানকে প্রকৃত অর্থেই অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যের সংবিধানে পরিণত করা।
জনপ্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে দলীয়করণমুক্ত করা।
জনপ্রশাসনকে রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ করা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে দলীয়করণমুক্ত করা এবং মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে সব ধরনের নিয়োগ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা।
বিচারপতিদের নিয়োগের জন্য আইন প্রণয়ন, আইনের ভিত্তিতে সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া।
বিচার বিভাগের আওতায় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বলয় থেকে বিচার বিভাগকে মুক্ত করা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা