বগুড়ায় মেয়েকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

বগুড়ার কাহালুতে মেয়েকে হত্যার পর মা জুলেখা খাতুন আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মেয়ের নাম মুশফিকা বলে জানা গেছে। তার আনুমানিক বয়স চার বছর।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের অটোরিকশাচালক আবদুল মোমিন ২০১৯ সালে জুলেখা খাতুনকে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মোমিন অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। দুপুরের আগে বাড়িতে ফোন দিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের কোনো সাড়া পাননি। এ সময় তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা।

এ সময় খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে কাহালু থানা পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে মেয়ে মুশফিকার লাশ বিছানায় পড়ে আছে এবং মা জুলেখা খাতুনের লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে। পরে পুলিশ মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।

অটোরিকশাচালক আবদুল মোমিন জানান, তাদের পারিবারিক কোনো কলহ ছিল না। তবে তার স্ত্রীর প্রচণ্ড রাগ ছিল। তার ধারণা, শাসনের জন্য মারধর করলে মুশফিকা মারা যায়। তখন জুলেখা গামছা দিয়ে মেয়ের মুখ বাঁধে ও গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়। এরপর সে নিজেই আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায় বিকেলে সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) ওমর আলী ও কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, কেন আত্মহত্যা করেছে তার কারণ এখনো জানা যায়নি। তাদের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।