১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হাবিপ্রবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হাবিপ্রবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - ছবি : নয়া দিগন্ত

শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রায় ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপর ১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ভবনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি একজন ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এ সময় তিনি তাদেরকে খোলা জায়গায় এমন কিছু করতে নিষেধ করেন। এরই মধ্যে কথা বলার একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে একই দিনে রাত সাড়ে ১২টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর রুমে ঢুকে তার উপর হামলা চালানো হয়।

হামলার ঘটনা জানার পর রাতেই ওই হলের প্রভোস্ট ড. আবু খায়ের মো: মুক্তাদিরুল বারী চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষক ওই হলেই দুইপক্ষের সাথে বসে সবকিছু শোনার পর হামলাকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া বিষয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বাস দেয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত ২৬ অক্টোবর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সের ১৭ ব্যাচের শামীম রেজার রুমে ঢুকে তার উপর একই হলের ২০ থেকে ৩০ জন অর্তকিত হামলা চালায়। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। শুধু তাই নয় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ জানালেও প্রায় ১৬ দিন পেরিয়ে গেছে। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো সুস্পষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি।

আমাদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র, পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক উপস্থিত হয়েছিলেন। আমরা শিক্ষার্থীরা তাদেরকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। তিন দিনের মধ্যেই হামলাকারীদের বিচারের আওতায় না আনা হলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটামের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শামসুজ্জোহা বলেন, হামলার দিন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেখানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে হল প্রশাসনও ছিল। আমরা তাৎক্ষণিক কিছু হামলাকারীর নামও পেয়েছি। এছাড়াও ভুক্তভোগীর একটি লিখিত অভিযোগও আমরা পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠনের চেষ্টা করছি আর আজই আমরা সেটি ফাইনাল করব। তদন্ত কমিটি কাজ করবে এবং কমিটির কাজের উপর ভিত্তি করে যে সুপারিশ হবে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব। শুধু তাই নয়, আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি। শিক্ষার্থীদের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ করার। তারপর ভিসি মহোদয় যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই আমরা বাস্তবায়ন করব।


আরো সংবাদ



premium cement