রামেক ছাত্রলীগের ১৫ নেতার সাজা
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩৫
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) ছাত্রলীগের ১৫ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ছয়জনকে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শান্তি সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে তাদের এ সাজা দেয়া হয়।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
রামেকের হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
সাজা পাওয়া নেতারা হলেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হাসান অমি। তিনি ২৭তম বিডিএস ব্যাচের ছাত্র। তার দু’ বছর ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ২৯তম ব্যাচের শাহরিয়ার রহমান সিয়ামকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিস্কার। ৩০তম ব্যাচের আশিক রেজাকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাফিউর রহমান সিয়ামকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, সাদমান সাকিব রক্তিমকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, ৫৯তম ব্যাচের শুভ কুমার মণ্ডলকে দু’ বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, জয়দেব কুমার সাহার দু’ বছরের জন্যে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, গৌরব কুমার সাহার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, আসিফুজ্জামনের এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার ও আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্ষণকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও সার্জারি বিভাগে ডিউটি এক্সটেনশন এবং মুচলেকা, ৬০তম ব্যাচের নাহিদ হাসানকে দু’ বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাইদা রশিদ ত্বাহাকে দু’ বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মাহদিন আহমেদ খানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মিজানুর রহমানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মুক্তার আলীকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিস্কার করা হয়।
মুচলেকায় ক্ষমা পাওয়া নেতারা হলেন ২৯তম ব্যাচের সাবিহা আফরিন ছন্দকে তিরস্কার এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা নেয়া হয়। এছাড়া ৫৯তম ব্যাচরে ফরিদ উদ্দিন, মুস্তাফিজ আল আমিন, শরিফ হোসেন, সাব্বির হোসেন অভি ও শাহরিয়ার আহসান সাজিদকে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করা হয়।
রামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে জানান, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে এ শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তাদের সিট বাণিজ্য, র্যাগিং, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও জুলাইয়ের ছাত্র অভ্যুত্থানের বিরোধিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা