০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

হাসিনার নির্যাতন আল্লাহও সহ্য করেননি : টুকু

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু - ছবি : নয়া দিগন্ত

‘হাসিনার নির্যাতন আল্লাহও সহ্য করেননি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন, আমি নির্যাতনকারীকে নির্যাতন করতে দেই, দেখি কতটুকু করতে পারে। আজ হাসিনা হেলিকপ্টারে পালিয়েছেন।

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে শহীদ হওয়া আব্দুল আলীম ও সোহানুর রহমান রঞ্জুর স্মরণে সিরাজগঞ্জ সদরের পাইকপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে এমপি কিংবা ইউপি নির্বাচন, কোনো জায়গাতেই মানুষ ভোট দিতে পারেননি। আজকে এখানে মিটিং করতে পারছি। কিন্তু আজকে স্মরণ করতে হয় যে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন সয়বাদের বাঐতারা ও কালিয়া হরিপুরের মাটি বিএনপির নেতাকর্মীদের রক্তে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। তাদের হাত-পায়ের নখ তুলে ফেলেছিল, দাঁত তুলে ফেলেছিল। তারা ১৬ বছর আমার বাংলাদেশের মানুষের ওপরে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা শুনেছেন আগুল ফুলে কলাগাছ হয়। সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ি গ্রামের নবীদুল। ট্রাকের হেলপার ছিলেন, হেলপারও নন, বেলচা দিয়ে ট্রাকে মাল লোড করতেন। ভ্যান গাড়ি চালাতেন। সেই নবীদুল নাকি চেয়ারম্যান হয়ে ৫০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দু’টি ডুপ্লেক্স বাড়ি বানিয়েছেন। সিরাজগঞ্জে এক রাজা ছিল। সেই রাজা বলতেন টুকু যেন সাদা না থাকে, রক্তে লাল হয়ে যায়। এরপর এই নবীদুল বাহিনী আমি সিরাজগঞ্জে আসার পথে রামদা নিয়ে বসে থাকতেন। মনে হত, আমি এ শহরের মানুষ না, এ শহরে থাকি না, ট্যাক্সও দেই না।’

তিনি আরো বলেন, ‘অহংকার করবেন না। অহংকার করলে কী হয়, তা হাসিনার পরিণতি দেখে শেখেন। যারা আমাদের বের হতে দেয় নাই, টুকুকে আসতে দেয় নাই, আজ তারা সবাই পালিয়েছেন। এটাই নিয়তি।’

সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম নাজমুল ইসলামের পরিচালনায় ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো: রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: সাইদুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।

স্মরণসভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শহীদ আব্দুল আলীম ও সোহানুর রহমান রঞ্জুর পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা করে দেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু, ছাত্রদলের সদস্য মো: সুমন ও যুবদলের কর্মী আব্দুল লতিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।


আরো সংবাদ



premium cement