‘শুধু ছাত্রলীগ নয়, আ’লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে’
- রাজশাহী ব্যুরো
- ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৫৩
‘শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই ছাত্রলীগের অবৈধ কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছিল। ফলে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতা এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বাড়তে থাকে। যা শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট করেছে।
আজ রোববার বিকেলে ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরী শাখা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তারা এসব কথা বলেন।
ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর সভাপতি মো: সিফাত উল আলমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো: শামিম উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক সিদ্দিক আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিদ্দিক আহমেদ বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশে যে নৃশংসতা চালানো হয়েছিল, তার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের সূচনা ঘটে। সেদিন শহীদ শিপন, শহীদ মুজাহিদ, শহীদ জসিমসহ অনেকেই শাহাদাত বরণ করেন।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ ব্যতীত বিশ্বের কোনো দেশে এভাবে সাধারণ জনগণের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়নি। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা এবং ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, তারা সন্ত্রাস। আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করা উচিত।’
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিফাত উল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে, যেন দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যদি আগামীতে তারা পুনরায় সংগঠিত হয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের সহায়তায় তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। সেইদিন সাধারণ মানুষের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি একজন কুরআনের হাফেজকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার দাঁত উপড়ে ফেলা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের এ বর্বরতার দৃষ্টান্ত মানবতার জন্য কলঙ্ক।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা