২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩০, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

জয়পুরহাটে হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন

আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দশজন আসামি - ছবি : নয়া দিগন্ত

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় গরুর বাছুরকে মারপিটের প্রতিবাদ করায় ফিরোজ হোসেন (১৮) নামে এক কিশোরকে হত্যার ১১ বছর পর বাবা ও ছেলেসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ সময় প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় এবং জরিমানা অনাদায়ে আরো দু’বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

রোববার (২০ অক্টোবর ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

জয়পুরহাট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি খাজা শামসুল বুলবুল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় ১৩ আসামির মধ্যে আদালতে ১০ আসামি উপস্থিতি ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ক্ষেতলালের আমুনিয়া গ্রামের মরহুম আশরাফ আলী মণ্ডলের ছেলে আজিজার রহমান (৪৩), সাহেব আলীর ছেলে সাহাদুল ইসলাম (৩৯), সাইদুল ইসলাম (৩৬), মরহুম শুকুর আলীর ছেলে মোজাম (৬১), মোসলেম (৫৫), মোসলেমের ছেলে আমিনুর (৩৩), আশমত উল্যাহ (৬১) ও তার ছেলে আবুল কাশেম (৩৭), মরহুম সোলাইমানের ছেলে সেকেন্দার (৩৬) ও তার ছেলে শাহীন মোল্লা (৩৩), ইয়াকুব আলীর ছেলে আকরাম আলী (৪৬), আশরাফ আলীর স্ত্রী জিন্নাহ (৫৩) ও মরহুম মেহের আলীর ছেলে (৫১)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ‘২০১৩ সালের ৯ জুন বিকেল ৫টায় মনসুর আলী ফকিরের একটি গরুর বাছুরকে মারপিট করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই তারিখেই রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী ছয়ের আলী তালুকদারের খলিয়ানে (বাড়ির সামনের চত্বর) গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশের মধ্যে একই গ্রামের মোজাম, মোসলেম, আমিনুর, আবুল কাশেম, আশমত, সেকেন্দার, শাহিন মোল্লা, আকরাম মোসা: জিন্নাহ ও আ: ছাত্তার তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনসুরের ছেলে ফিরোজের উপর হামলা করে। হামলায় ফিরোজ গুরুতর আহত হন। সেসময় আহত ফিরোজকে উদ্ধার করে প্রথমে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় ফিরোজ হোসেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় নিহত ফিরোজ হোসেনের বাবা মুনসুর আলী ফকির ২০১৩ সালের ১৩ জুন ক্ষেতলাল থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে মামলার ওই সময়ের তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) রফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক ১৩ জনের যাবজ্জীবন ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, এ মামলায় বাদি পক্ষের আইনজীবী এপিপি খাজা শামসুল ইসলাম বুলবুল এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
নতুন চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড ডেন্টালের সভাপতি ডা: পরিমল মহাসচিব ডা: কবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সাথে স্বাস্থ্য ও তথ্য উপদেষ্টার মতবিনিময় বায়তুল মোকাররমে হামাস প্রধান সিনওয়ারের গায়েবানা নামাজে জানাজা পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সাথে ডিবিএর বৈঠক আজ মোহাম্মদপুরে ১১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ মুফতি রেজাউল হককে অব্যাহতি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান গণতান্ত্রিক ঐক্যের সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ গোশত জোগানে খামারিদের সহায়তা জরুরি স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও এমপি ইকবালুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল

সকল