২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ‘ধর্ষণের শিকার’ গৃহবধূর

- ছবি : প্রতীকী

নওগাঁর মহাদেবপুরে মাজেদুল ইসলাম (২৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিয়ের দাবিতে ওই গৃহবধূ মাজেদুল ইসলামের বাড়িতে অনশন করছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের মির্জাপুর বটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বুধবার দুপুরের দিকে মির্জাপুর (বটতলা) গ্রামের ওই গৃহবধূকে (২০) একই গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে মাজেদুল ইসলাম ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় সদ্দাররা শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করলে মাজেদুল ও তার পরিবারের কোনো লোকজন সেখানে উপস্থিত হননি।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর পক্ষের পরিবারের চাপে শনিবার সকালে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হন। পরে তিনি মাজেদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন। মাজেদুল ইসলাম মির্জাপুর হেফ্জখানা থেকে পড়ালেখা শেষ করে বর্তমানে সাতক্ষীরা ইন্টারন্যাশনাল হেফজুল কুরআন মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। কয়েক দিন আগে ছুটিতে তিনি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।’

প্রত্যক্ষদর্শী জায়েদা বেওয়া বলেন, ‘ওইদিন দুপুরে তাদের দু’জনকে অনৈতিক কাজ করতে দেখেন তিনি। পরে স্থায়ীয় আরো কয়েকজন সেখান থেকে তাদেরকে চলে যেতে দেখেছেন। মির্জানগর গ্রামের মরহুম নবীর উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন মো: তোফাজ্জল হোসেন, আশরাফ আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মাজেদুল ইসলাম একজন হাফেজ হলেও তার বিরুদ্ধে মাদকসেবন, চুরি, নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ‘গত বুধবার দুপুরে মাদরাসার পাশের একটি পুকুরে কাপড় ধুয়ে মাদরাসার কাঁটাতারের বেড়ায় দিয়ে আসার সময় বিয়ের প্রলোভনে মাজেদুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হলে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হন ওই গৃহবধূ। তিনি আরো জানান, বিয়ের পর থেকেই মাজেদুল তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। এতে সাড়া না দিলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করতেন।’

এ বিষয়ে জানতে মাজেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার দিন পান কিনতে মোড়ের দোকানে গিয়েছিলেন। কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় প্রস্রাব করার জন্য দোকানের পেছনে গিয়েছিলাম।’

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনিব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement