নাস্তিকদের শিক্ষাব্যবস্থা চাই না, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করতে হবে : অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম
- জয়পুরহাট প্রতিনিধি
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:২৩
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম বলেছেন, নাস্তিকদের শিক্ষাব্যবস্থা চাই না। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান। এখানে সব ধর্মের শিক্ষকরা সমান মর্যাদা পায়। আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই, যেখানে সন্তান তার বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না। দুর্নীতি করবে না। নারীদের শ্লীলতাহানি ঘটাবে না।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন হজরত মোহাম্মাদ সা:। সাহাবীরা ছিলেন তাঁর সরাসরি ছাত্র। এই ছাত্ররা একটি সুন্দর পৃথিবী গঠন করেছিলেন।
শনিবার আব্বাস আলী খান মিলনায়তনে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জয়পুরহাট শাখা আয়োজিত জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম বলেন, শিক্ষা কার্যক্রমের সকল স্তর থেকে ফ্যাসিবাদ সরকারের সহযোগী ও নাস্তিকদের নির্বাহী আদেশে অপসারণ করতে হবে। যারা রোষানলের স্বীকার হয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের স্বপদে বহাল করতে হবে। এরই মধ্যে আমরা ৪৭ জনের তালিকা সরকারকে প্রদান করেছি। শিক্ষকরা জাতির বিবেক। তাদের অভুক্ত কেন রাখবেন? তাদের বেতন বাড়িয়ে দিন। বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনকে কোনো দাবি নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য করবেন না। যদি মাঠে নামি, তাহলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা একটি সুন্দর রাষ্ট্র গড়তে চাই। আমাদের এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে আবু বকর, ওমর গড়ে তুলতে পারছি না যে তারা এই রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবে। আমরা শিক্ষক হিসেবে ব্যর্থ। আমাদের শিক্ষক সমাজ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এটা গোটা জাতিকে অপমানিত করে। আদর্শ শিক্ষক হতে হলে সবাইকে ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করতে হবে।
আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জয়পুরহাট জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ বলেন, শিক্ষকরা সমাজ গড়ার কারিগর। কিন্তু বর্তমানে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। আওয়ামী সরকার পরীক্ষার হলগুলোতে যেভাবে নকল করার অবাধ সুযোগ দিয়েছে, তাতে শিক্ষার্থীদের জীবনে ভাটা পড়েছে। এটা না করলে ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় মনযোগী হতো। এই অপকর্মের সাথে কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষকও জড়িত ছিল। আমাদের উচিত এমন অন্যায় না করা। আমাদের শিক্ষক সমাজকে নৈতিকতার ক্ষেত্রে আপোষহীন হতে হবে।
এছারাও বক্তব্য রাখেন জেলার সহকারী উপদেষ্টা মাওলানা গোলাম কিবরিয়া মণ্ডল, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি হাসিবুল আলম লিটন, বাংলাদেশ কারিগরী কলেজ শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ তাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি আব্দুল আলিম, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ এবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা