২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রেতাত্মারা এখনো দেশে অবস্থান করছে

এনায়েতপুরের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তা অবিস্মরণীয়। ২০২৪-এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা তিনি বলেন, শহীদদের যে আত্মত্যাগ তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো দেশে অবস্থান করছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনায়েতপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা বিএনপির উদ্যেগে এনায়েতপুর হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, ‘২৪-এর গণবিপ্লব ছিল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। আমরা দেশকে আজ স্বৈরাচারমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্যের অল্প অর্জন করতে পেরেছি। আমাদের আরো অনেক পথ বাকি আছে। এই পথ সঠিকভাবে পাড়ি দিতে হবে। এতে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যখন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি ব্যবস্থা থাকবে, তখন যারাই সরকার পরিচালনা করবে তারা জনগণের কথা চিন্তা করবে। এ কারণে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের এত ত্যাগ-তিতীক্ষা ও আন্দোলন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের রাজনীতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থাসহ সামগ্রিকভাবে মানুষের কাছে আমরা ৩১ দফা দাবি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাইলে সকল সংস্কার প্রস্তাবের সাথে সাথে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ, শুধু রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করলে চলবে না। একইসাথে এটার সুফল পেতে হলে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথ বাতলাতে হবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে পারি, তাহলে সকল ক্ষেত্রে আমাদের মুক্তি হবে। দেশীয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার সমস্যা দূর করা যাবে।’

‘এনায়েতপুর ও বেলকুচি অঞ্চলের তাঁতশিল্পের উন্নয়ন ঘটিয়ে তাঁতশিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে,’ বলেন তারেক রহমান।

এসময় ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম। বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ছাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ডাক্তার এম এ মুহিত, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান হাসান, ভিপি শামীম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা মোস্তফা জামান, আবু সাইদ সুইট।

এছাড়া এনায়েতপুর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন আলী মন্টু সরকার, সদস্য সচিব মুঞ্জুরুল শিকদার মুঞ্জু, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির আাহ্বায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, সদস্য সচিব বনি আমিন, চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা, সেক্রেটারি কারী ময়নাল হকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


আরো সংবাদ



premium cement