১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঈদে বাড়ি ফেরা হোক নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত

-

ঢাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শায়লা শেষ মুহূর্তে এসে ঠিক করলেন যে তিনি ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। দেরিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে তিনি কোনো বাসের টিকিট পাচ্ছিলেন না। আবার রেন্ট-এ-কার সার্ভিসকেও তার নিরাপদ মনে হয় না। যেহেতু তিনি একা ভ্রমণ করবেন, নিরাপত্তা তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শায়লার মতো একা ভ্রমণকারী নারীদের জন্য চমৎকার সমাধান হতে পারে উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো। ইন্টারসিটি সার্ভিস ব্যবহার করে দেশের যেকোনো প্রান্তে যাওয়া সম্ভব। আর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতেও এসব সার্ভিস খুব গুরুত্ব দেয়। তাই বরিশাল বা চট্টগ্রাম, গন্তব্য যেখানেই হোক না কেন, ঈদে বাড়িতে যাওয়া যাবে নিশ্চিন্তে।
যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলোতে আছে বিভিন্ন ধরনের ফিচার। এসব প্ল্যাটফর্মের চালক হিসেবে যোগ দেয়ার আগে কঠোর যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যাতে অপরাধের রেকর্ড ও সন্দেহজনক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এমন কেউ এই প্ল্যাটফর্মে আসতে না পারে।
রাইডশেয়ারিং ট্রিপগুলো সার্বক্ষণিক জিপিএসের আওতায় থাকে, তাই খুব সহজেই ট্র্যাক করা যায়। যাত্রীরা প্রিয়জনদের সাথে সরাসরি নিজের অবস্থানও (লাইভ লোকেশন) শেয়ার করতে পারবেন। রাইড বুকিং দেয়ার আগে যাত্রীরা চালকের নাম, ছবি, রেটিং ইত্যাদি জানতে পারেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ করার ক্ষেত্রে যা খুবই দরকারি।
এছাড়া, ভেরিফাইড পার্টনার, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ৯৯৯ সেবা, যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (আইআরটি), ভ্রমণের সময় যেকোনো সমস্যা রিপোর্ট করার জন্য একটি হেল্পলাইনের মতো সুরক্ষাসহ সমস্ত রাইডে টু-ওয়ে ফিডব্যাকের সুবিধা রয়েছে এসব অ্যাপে। পাশাপাশি, অ্যাপের ইন্স্যুরেন্স পলিসির মাধ্যমে যাত্রীরা কোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশীদের জন্য ঈদ মানে প্রিয়জনদের সাথে মিলিত হওয়ার একটি সুযোগ। এই বিশেষ উপলক্ষে ঘরে ফেরাকে নিরাপদ ও আরামদায়ক করে তুলতে রাইডশেয়ারিং সার্ভিস বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা।


আরো সংবাদ



premium cement