জেনারেটিভ এআই বিস্তৃতি পেয়েছে ২০২৩ সালজুড়ে
- আহমেদ ইফতেখার
- ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
কনসালটেন্সি পিডব্লিউসি অনুমান করছে, ২০৩০ সাল নাগাদ এআই সংশ্লিষ্ট খাতে আয় বেড়ে দাঁড়াবে সাড়ে ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি, যা চীনের জিডিপির কাছাকাছি। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, এক সময় অর্থ, আইন, উৎপাদন ও বিনোদন প্রায় সব খাতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপস্থিতি মিলবে এআই প্রযুক্তির
২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবটটি উন্মোচন হলেও ২০২৩ সালজুড়ে লোকমুখে প্রচলিত নাম হয়ে ওঠার পর্যায়ে ছিল চ্যাটজিপিটি। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে চ্যাটবটটি দিয়ে ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত আয়ের আশা করে ওপেনএআই। ২০২৩ সালের ফেব্র“য়ারিতে ‘বিং এআই’ উন্মোচন করে মাইক্রোসফট, যেখানে ওপেনএআইয়ের পরবর্তী প্রজন্মের চ্যাটবট ‘জিপিটি-৪’ ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এর পর থেকেই এআই নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির যুদ্ধ শুরু হয়। বিংয়ের উন্মোচনের পর পরই নিজস্ব চ্যাটবটের ‘বার্ড’ ঘোষণা দিতে বাধ্য হয় গুগল। তবে, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ-বিষয়ক এক প্রশ্নের ভুল জবাব দেয়ার পরই কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ৮ শতাংশ কমে যায়।
শেষ পর্যন্ত গুগলের এমন ভাবমর্যাদা তৈরি হয় যে, বিং ও চ্যাটজিপিটি নিয়ে মাইক্রোসফট ও ওপেনএআই যে সাফল্য অর্জন করেছে, সেটির পেছনেই ছুটছে গুগল। মাইক্রোসফট ও গুগল ছাড়াও ২০২৩ সালে গোটা প্রযুক্তি বিশ্বের ‘বাজওয়ার্ড’ ছিল এআই।
বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি পিচবুকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওপেনএআইয়ের পক্ষে মাইক্রোসফটের শত শত কোটি ডলারের বাজিসহ ২০২৩ সালে বিভিন্ন জেনারেটিভ এআই স্টার্টআপ কোম্পানির পেছনে সর্বমোট দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার ঢেলেছেন বিনিয়োগকারীরা। বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানির মধ্যে পর্দার আড়ালে এআই খাতে নেতৃত্ব দেয়ার লড়াই চলছে, যা হঠাৎ করে নজরে আসে যখন অ্যালফাবেট, মেটা ও অ্যামাজন সবাই নিজ নিজ মাইলফলকের ঘোষণা দিতে শুরু করে।
কনসালটেন্সি পিডব্লিউসি অনুমান করছে, ২০৩০ সাল নাগাদ এআই সংশ্লিষ্ট খাতে আয় বেড়ে দাঁড়াবে সাড়ে ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি, যা চীনের জিডিপির কাছাকাছি। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, এক সময় অর্থ, আইন, উৎপাদন ও বিনোদন প্রায় সব খাতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপস্থিতি মিলবে এআই প্রযুক্তির।
এআই যুগের বিজয়ী ও অভাগাদের নাম এখনো কেবল শুরুর পর্যায়ে আছে। অন্যান্য যুগে অবশ্য সুবিধাভোগীদের জন্য একটি সম্ভাব্য আর্থ-সামাজিক সীমারেখা বেঁধে দেয়া হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, অল্টম্যান পর্ষদের সাথে যথেষ্ট স্বচ্ছ ছিলেন না। তবে, অল্টম্যানকে ছাঁটাইয়ের পর কোম্পানির কর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করার পাশাপাশি তাকে ছাঁটাইয়ের কারণ দর্শাতে বলেন পর্ষদকে। এমনকি এক খোলা চিঠিতে গণস্বাক্ষর করে কোম্পানি ছেড়ে অল্টম্যানের দলে যোগ দেয়ার হুমকিও দেন তারা।
পর্ষদের সাথে যুদ্ধে অবশ্য অল্টম্যান জিতেছেন। ফলে, ছাঁটাইয়ের চার দিন পরই কোম্পানিতে পুনরায় নিজ পদে ফিরে আসেন তিনি। এ নাটকীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অল্টম্যান বলেন, লোকজন এমন এআই প্রযুক্তির বিকাশ নিয়ে উদ্বিগ্ন, যা মানুষের বুদ্ধিমত্তাকেও ছাড়িয়ে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা