গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট ‘বার্ড’
- মামুন আল করিম
- ২৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০৫
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকরা বার্ড.গুগল.কমে গিয়ে বার্ড ব্যবহারের জন্য আপেক্ষমাণ তালিকায় নিজেদের যোগ করতে পারবেন। গুগল পরবর্তীতে ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে কখন থেকে এটি ব্যবহার করা যাবে।
গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট ‘বার্ড’ অবশেষে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করতে শুরু করেছে। গত ৯ ফেব্র“য়ারি গুগল বার্ড চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ২১ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা এই চ্যাটবটটি ব্যবহার করতে পারছেন। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকরা নধৎফ.মড়ড়মষব.পড়স এ গিয়ে বার্ড ব্যবহারের জন্য আপেক্ষমাণ তালিকায় নিজেদের যোগ করতে পারবেন। গুগল পরবর্তীতে ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে কখন থেকে এটি ব্যবহার করা যাবে। গুগল ধারাবাহিকভাবে এটি উন্মুক্ত করবে। তাই সবাই একযোগে বার্ড ব্যবহারের অনুমতি পাবেন না। ধীরে ধীরে অন্যান্য দেশ ও ভাষাতেও বার্ড উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে বার্ডের যে সংস্করণটি উন্মুক্ত করা হচ্ছে সেটি ‘প্রথমিক’ সংস্করণ। গুগল কর্মীরা বার্ডের আরো উন্নত সংস্করণ ‘বিগ বার্ড’ ব্যবহার করছেন। সময়ের সঙ্গে গুগল বার্ডকে আরো উন্নত করবে। এখন ব্যবহারকারীরা তাদের লিখিত পরামর্শও গুগলকে জানাতে পারবেন।
কিছুটা পার্থক্য থাকলেও বার্ড অনেকটা চ্যাটজিপিটির মতোই। গুগল বলছে এই চ্যাটবটি ব্যবহারকারীদের ‘উৎপাদনশীলতা’ বৃদ্ধি করবে। চ্যাটজিপিটর মতোই ‘বার্ড’ লিখিত নির্দেশনা থেকে সরাসরি উত্তর তৈরি করে দিতে পারবে। তবে বার্ড উত্তরের বিভিন্ন সংস্করণ (ভার্সন) তৈরি করবে, যাতে ব্যবহারকারী তার পছন্দমতো উত্তর বাছাই করতে পারে। চ্যাটজিপিটিতে এই সুযোগ নেই। ব্যবহারকারী চাইলে পাল্টা প্রশ্নও করতে পারবে অথবা উত্তরগুলো পছন্দ না হলে পুনরায় একই প্রশ্ন করা যাবে।
বার্ডে ‘গুগল ইট’ নামের একটি বাটন থাকবে, যেটিতে ক্লিক করলে চ্যাটবটটি আপনার জিজ্ঞাসাকে সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী প্রশ্নে রূপান্তর করবে এবং সেটিকে গুগল সার্চে পাঠাবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট নিয়ে গুগলের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে বার্ড, যা কোম্পানিটির বৃহৎ ল্যাংগুয়েজ মডেল ল্যামডার কার্যকর সংস্করণ দ্বারা পরিচালিত হবে। বার্ড সব সময় সঠিক উত্তর নাও দিতে পারে- ব্যবহারকারীরা এমন সতর্কবার্তাও পাবেন। শুরুর দিকে বার্ড শুধু টেক্সট নির্দেশনা নিতে পারবে। কোনো ছবি বা অডিও সমর্থন করবে না। আপাতত কোডিংও করা যাবে না। তবে গুগল জানিয়েছে ধীরে ধীরে এসব ফিচারও যোগ করা হবে।
বিংজিপিটির প্রায় ৬ সপ্তাহ পর এখন বার্ড চালু করল গুগল, ইন্টারনেট সার্চে যারা প্রায় গত ৩০ বছর ধরে রাজত্ব করে যাচ্ছে। বার্ডের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে দেখা গেছে, এর আচরণ ও সক্ষমতা অনেকটাই বিংজিপিটি বা চ্যাটজিপিটির মতোই। বুদ্ধি খাটানো, লেখার চিন্তা, ভ্রমণ ও খাবার সম্পর্কে পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে বার্ডে। এখনো কোনো কোনো ক্ষেত্রে বার্ড একেবারে নির্ভুল উত্তর দিতে পারছে না এবং অজানা উত্তরের ক্ষেত্রে এটি নিজে থেকে বানিয়ে কিছু একটা লিখে দিচ্ছে।
গুগলের কর্মীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে বার্ডকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই কর্মীদের আহবান জানিয়েছেন, তারা যাতে নিজেদের সময় থেকে ২-৪ ঘণ্টা বার্ডকে প্রশিক্ষণের পেছনে ব্যয় করে।
জেনারেটিভ এআই নিয়ে মাইক্রোসফট ও গুগলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে এখন। প্রযুক্তি দুনিয়ার অনেকেই মনে করছেন কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা হতে যাচ্ছে, যেমনটি হয়েছিল মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের পর। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও পুরো প্রযুক্তি দুনিয়াকেই পাল্টে দেবে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গুগল এই খাতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা