গুজব ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রযুক্তি জায়ান্টরা
- আহমেদ ইফতেখার
- ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, লিংকডইন ও টিকটক নিজেদের প্ল্যাটফর্মে গুজব বা জাল খবর ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অনলাইন কনটেন্ট নীতিমালা মেনে চলার সক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ বাড়ছে। সম্প্রতি বিষয়টি তুলে ধরেছে অধিকারকর্মীদের এনজিও সাইট আভাজ। প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের এক মার্কিন ভ্যাক্সিনবিরোধী সিনেমাভিত্তিক ১০৮টি কনটেন্টের নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখেছে, মেটা ও ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম অপপ্রচার সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট ঠেকানোর প্রচেষ্টায় যথেষ্ট কাজ করেনি। সামগ্রিকভাবে ছয়টি শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম আমাদের বিশ্লেষণ করা ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট কনটেন্টের কেবল ২২ শতাংশ সরিয়েছে। ইংরেজি ভাষা বাদে ভুল তথ্য থাকা অন্যান্য কনটেন্ট সরানোর বেলায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে না কোম্পানিগুলো। ইইউর আওতাধীন সব ভাষার জন্য কোডের মধ্যে প্ল্যাটফর্মগুলোর নিজস্ব পরিষেবা উন্নত করার প্রতিশ্র“তি থাকা সত্ত্বেও আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ইতালীয়, জার্মান, হাঙ্গেরিয়ান, ডেনিশ, স্প্যানিশ ও এস্তোনিয়ানের মতো কিছু সংখ্যক ভাষার বেলায় ইইউর বিভিন্ন নীতিমালা লঙ্ঘনকারী পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কোনো প্ল্যাটফর্মই।
শীর্ষস্থানীয় বেশির ভাগ প্ল্যাটফর্মই নিজেদের ‘কোড অব প্র্যাক্টিস’ সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্র“তি পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। গত নভেম্বরে কার্যকর হওয়া ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)’ নামে পরিচিত অনলাইন কনটেন্ট নীতিমালার সাথে আপডেট করা ‘ইইউ কোড অব প্র্যাকটিস’ মেনে চলার বিষয়ে এই সপ্তাহে রিপোর্ট উপস্থাপন করবে বিভিন্ন কোম্পানি। গত বছর, ইইউর আপডেট করা কোডের ভিত্তিতে ভুল তথ্য সরানোর ক্ষেত্রে তুলনামূলক কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছে মেটা, অ্যালফাবেট, টুইটার ও মাইক্রোসফট। ডিএসএর নীতিমালা লঙ্ঘন করলে কোম্পানিগুলো নিজেদের বৈশ্বিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে পারে।
বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা গেছে, কিছু কিছু গুজব নির্দিষ্ট কিছু দলের মানুষের মাধ্যমে দ্রুত ছড়ায় কারণ তারা হয়তো কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল, ধর্ম, মতামতের ওপর বিশ্বাস করে এবং ওই সংক্রান্ত যেকোনো গুজবকে বিশ্বাস করে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি নির্দিষ্ট গুজব তখনই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যখন মানুষের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির সাথে তা মিলে যায়। এ কারণে একই গুজব গ্রামাঞ্চলে যতটা দ্রুত ছড়াবে শহরে হয়তো ততটা ছড়ায় না।
অনেক সময় ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ অন্যান্য মাধ্যমের পোস্টে ভিউ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হয় এসব গুজব। সেসব পোস্ট অনেকেই জেনে বা না-জেনে শেয়ার করছেন, যা একসময় ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এসব কারণে একদিকে যেমন অনিরাপদ হয়ে উঠছে এ মাধ্যমটি, ঠিক তেমনি জ্ঞাত বা অজ্ঞাতে অনেকেই করছেন আইনের লঙ্ঘন। জড়িয়ে পড়ছেন সাইবার অপরাধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। একটু ভুলের কারণে আপনি আসামি হতে পারেন সাইবার অপরাধের। সাইবার অপরাধীর বিচারে দেশে কঠিন আইন রয়েছে। জেনে বা না-জেনে যদি কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো অপরাধ করেন, তাহলে এর জন্য ভোগ করতে হবে কঠিন শাস্তি ও রয়েছে মামলার বিধানও।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা