প্রোগ্রামিং বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশে
- মামুন আল করিম
- ১২ নভেম্বর ২০২২, ০০:০৫
৪৫তম ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) চূড়ান্ত পর্বের (ওয়ার্ল্ড ফাইনাল) আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। গত ৬ থেকে ১০ নভেম্বর ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
১৩৭টি দল প্রতিযোগিতা করছে এবারের প্রোগ্রামিংয়ের ‘বিশ্বকাপ’ আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে (ওয়ার্ল্ড ফাইনালস)। ৬৯টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিয়েছে। এবার চূড়ান্ত পর্ব দলগুলোর জন্য ১২টি প্রোগ্রামিং সমস্যা বা প্রশ্ন করা হয়। আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে এবার শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। পাঁচ ঘণ্টায় ১২টি প্রোগ্রামিং সমস্যার মধ্যে ১১টি সমাধান করে ৪৫তম আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এবার দ্বিতীয় স্থানে আছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় (১০টি সমাধান) এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়।
আইসিপিসির নিয়ম অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে শীর্ষ চারটি দল সোনার পদক পায়। এরপর পঞ্চম থেকে অষ্টম রুপা এবং নবম থেকে দ্বাদশ স্থান অর্জনকারী দল ব্রোঞ্জপদক পায়।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জতিক কনভেনশন সেন্টার, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর হলে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট খোঁপে বসা তিন জন করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তাদের সামনে একটি করে কম্পিউটার। কোনো কোনো খোঁপে এক বা একাধিক রঙিন বেলুন। এর মানে হলো এই দল এতটা প্রোগ্রামিং সমস্যার সমাধান করেছে। একটা সঠিক সমাধান, একটা করে বেলুন।
এবারের আয়োজন সম্পর্কে আইসিপিসি ফাউন্ডশনের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম বি পাউচার বলেন, ‘আমরা ছয় বছর আগে ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকায় আয়োজনের যে যাত্রা শুরু করেছিলাম, আজ তা সত্যিই হচ্ছে। আমার কাছে এটি বিস্ময়কর ও আনন্দের। আইসিপিসি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা সমাধানের আয়োজন। আগামীর পৃথিবীতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দিয়ে বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে হবে। আইসিপিসিতে যারা অংশ নেন, তারা পৃথিবীর সেরা প্রোগ্রামার হয়ে থাকেন। তাদের মেধা মানবতার কাজে লাগবে।’
শীর্ষ তিন দলের পর সোনা জয় করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৯টি সমাধান)। গতকাল দলটি ১১ মিনিটে সবার আগে একটি সমস্যার সমাধান করে।
রৌপ্যপদক বিজয়ী হয়েছে সুইজারল্যান্ডের ইটিএইচ জুরিখ, ফ্রান্সের ইকোল নরমাল সুপিরিয়র ডি প্যারিস, যুক্তরাষ্ট্রের কার্নিগিও মিলন ইউনিভার্সিটি ও পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়।
ব্রোঞ্জ পেয়েছে রাশিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকস, সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিয়েতনামের ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ভিএনইউ)।
স্বাগতিক বাংলাদেশের আট বিশ্ববিদ্যায়ের আটটি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ৫১তম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৬তম স্থান অর্জন করে। দুটি দলই চারটি করে সমস্যার সমাধান করে। এ ছাড়া বাকি ছয়টি দল বিশেষ সম্মাননা (অনারেবল মেনশন) পেয়েছে। এ দলগুলো হলো আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এশিয়া মহাদেশে চতুর্থ দেশ হিসেবে বাংলাদেশে আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস অনুষ্ঠিত হলো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইসিসিবিতে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় এ বছরের আইসিপিসি চূড়ান্ত পর্ব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা