অ্যাপলের নতুন চমক আসছে
- আহমেদ ইফতেখার
- ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
নকশা, স্পেসিফিকেশন ও ফিচারের দিক থেকে বড় আপগ্রেড আশা করা হচ্ছে ২০২০ সালের আইফোনগুলোতে। আসন্ন আইফোনের বক্সের ভেতরেই যোগ করা হতে পারে এয়ারপডস। নতুন মডেলের স্মার্টফোনগুলোর সাথে টিডব্লিউএস (ট্রুলি ওয়্যারলেস স্টেরিও) ইয়ারবাডস বান্ডল হিসেবে দেয়ার পরিকল্পনা করছে অ্যাপল। ২০১৬ সালে প্রথম প্রজন্মের এয়ারপড বাজারে ছেড়েছিল অ্যাপল। ক্ষুদ্রাকৃতির ও দেখতে আকর্ষণীয় পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যটি খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরই অংশ হিসেবে গুগল ও মাইক্রোসফটের পাশাপাশি চীনা ডিভাইস নির্মাতারা ওয়্যারলেস ইয়ারফোন ব্যবসায় অর্থ লগ্নি করতে শুরু করেছে।
জিএসএম এরিনার তথ্য মতে, অ্যাপলের দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ওয়্যারলেস ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন। এ ডিভাইসের বিক্রি বার্ষিক ২০ কোটি ইউনিট ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী আট কোটি ইউনিট এয়ারপড বিক্রির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক বাজারে চলতি বছর দু’টি মডেলের এয়ারপড এনেছে অ্যাপল। গত অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটি বাজারে ছেড়েছে এয়ারপডের সর্বশেষ সংস্করণ এয়ারপড প্রো। ডিভাইস জোড়ার দাম ধরা হয়েছে ২৪৯ ডলার। নয়েজ ক্যান্সেলেশন ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স সুবিধা থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে মডেলটি গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আইফোন বিক্রি কমার কারণে চলতি বছর অ্যাপলের রাজস্ব আয়ের পতন ঠেকাতে এয়ারপডের এ মডেল কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের গবেষক পাভেল নায়া বলেন, এয়ারপড প্রো বাজারে আনার মধ্য দিয়ে ওয়্যারলেস ইয়ারফোনের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড সেট করে দিয়েছে অ্যাপল। গ্রাহকরা পণ্যটি দারুণ পছন্দ করেছেন।
অ্যাপলের এয়ারপড ও এয়ারপড প্রোর প্রধান উৎপাদন অংশীদার হলো চীনভিত্তিক ‘লাক্সশেয়ার-আইসিটি’ নামে একটি চুক্তিভিত্তিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। চীনে দু’টি উৎপাদন কারখানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্যান্য ছোট উৎপাদন অংশীদারদের এয়ারপড ও এয়ারপড প্রো উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে অ্যাপল। আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এমন একসময় চীনভিত্তিক এয়ারপড ও এয়ারপড প্রো উৎপাদন অংশীদারদের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনে উৎপাদিত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সাধারণত অ্যাপলের এয়ারপডস এবং স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি বাডসের মতো তারবিহীন ইয়ারফোনগুলোকেই বলা হয় টিডব্লিউএস। সম্প্রতি ২৪৯ মার্কিন ডলারের নতুন এয়ারপডস প্রো উন্মোচন করেছে অ্যাপল। এ ছাড়াও দুই সংস্করণের এয়ারপডস রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বাক্সে এয়ারপডস যোগ করা হলে আইফোনের দাম আরো বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন আইফোনের ঘোষণা দিতে এখনো প্রায় এক বছর বাকি থাকলেও এরই মধ্যে নতুন ডিভাইসগুলো নিয়ে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, সামনের বছর তিনটি আইফোন উন্মোচন করবে অ্যাপল। আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ প্রোতে রাখা হবে যথাক্রমে ৫.৪ ইঞ্চি ও ৬.৭ ইঞ্চি ওলেড পর্দা। নতুন ডিভাইসগুলোতে রাখা হতে পারে ছয় গিগাবাইট র্যাম। এর পাশাপাশি ২০২০ সালের মার্চ মাসে নতুন আইফোন এসই ২ উন্মোচন করতে পারে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। আইফোন ৮-এর মতো নকশা এবং আইফোন ১১ সিরিজের এ১৩ চিপসেট রাখা হতে পারে ডিভাইসটিতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা