১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বন্যপ্রাণী মনিটরিংয়ে ড্রোনের ব্যবহার

বন্যপ্রাণী মনিটরিংয়ে ড্রোনের ব্যবহার -

যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ার চিড়িয়াখানায় একটি ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা চলছে যা ১২০ মিটার ওপর থেকেও কোনো প্রাণীর কান থেকে শিরা পর্যন্ত দেখতে পারে। বনের ‘স্নো লেপার্ড’ বা শ্বেত চিতাবাঘ ও অন্যান্য বিপন্ন প্রাণীকে মনিটর করতে চলছে এই পরিকল্পনা।
বিভিন্ন প্রাণীকে বিরক্ত না করেই এদের শনাক্ত ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে ‘আনক্রুড এরিয়েল ভেহিকলস (ইউএভি)’ নামের ড্রোনটি, যা বানাতে একত্রে কাজ করছে অলাভজনক সংস্থা ‘মারওয়েল ওয়াইল্ডলাইফ’ ও ‘ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন’। কাজাখস্তানের ‘আলটিন-এমেল ন্যাশনাল পার্ক’-এর শ্বেত চিতাবাঘ ও বিভিন্ন খুড়ওয়ালা প্রাণী এবং কেনিয়ার গ্রেভিস প্রজাতির জেব্রা মনিটর করার মাধ্যমে এই প্রকল্পটি শুরু হবে। গবেষকদের তৈরি ড্রোনের মাধ্যেমে থার্মাল ইমেজিং, এইচডি ক্যামেরা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় আকাশ থেকেই বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য করা যাবে।
মারওয়েল ওয়াইল্ডলাইফের পরিচালক অধ্যাপক ফিলিপ রিওরডান আরো যোগ করেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এরই মধ্যে বড় পরিসরে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা গেলেও এদের বেশির ভাগই অপ্রয়োজনীয়। এই ড্রোনগুলো বেশ কয়েকবার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে, যার মধ্যে দু’টি ছিল হ্যাম্পশায়ার চিড়িয়াখানায়। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় ড্রোনগুলো যথেষ্ট স্পষ্টতার সাথে ছবি ধারণ করতে পেরেছিল, যেখানে ১২০ মিটার ওপর থেকে একটি জেব্রার শিরা থেকে কান পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। এমনকি প্রাণীদের ছায়া অন্য কোনো প্রাণীর দিকে তাকাচ্ছে, ড্রোনটি থেকে সে তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন সংরক্ষকরা। উদাহরণ হিসেবে, তলোয়ারের মতো শিংওয়ালা সব ‘অরিক্স’ ওপর থেকে দেখতে একই রকম হলেও পুরুষ অরিক্সের ছায়ায় তাদের শিং স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। জুম করার মাধ্যমে আমাদের দলটি প্রাণীর শারীরিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, কোনো প্রাণীর শ্রোণি ও পাঁজর দেখা যাচ্ছে কি না, এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, তারা হয়তো পর্যাপ্ত খাবার খুঁজে পাচ্ছে না। সামনের বছর থেকে কাজাখস্তান ও কেনিয়ায় বিভিন্ন ইউএভি বসানো হবে, যেখানে ‘গ্রেভি’স জেব্রা ট্রাস্ট’ ও ‘কেনিয়া ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস’-এর সাথে আমরা যৌথভাবে কাজ করব। আমাদের এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো- একটি অভিযোজিত ইউএভি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যা গোটা বিশ্বের বন্যপ্রাণী সংরক্ষকরা ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।


আরো সংবাদ



premium cement