নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে দলটির নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বিএনপির সাথে জামায়াতে ইসলামী কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করতেছেন এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসাথে বসি। দেশের এ পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। বিএনপিকে আহ্বান করব একসাথে বসার। আমরা আলোচনা করব কিভাবে সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তৈরি হবে।
গতকাল ঢাকার মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো: শাহাবুদ্দিন, মোবারক হোসাইন ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
ডা: তাহের বলেন, একটি মহল বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে দেশে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমরা এ পরিস্থিতির অবসান চাই। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক তা আমরা অবশ্যই চাই। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরের মধ্যেই আমরা জুলাই সনদের আদেশের ওপর গণভোট চাই। দেশের সবাই জানেন যে, গণভোটের ব্যাপারে সবাই একমত। তবে একটি দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট চায়, যা সম্পূর্ণ অবাস্তব। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরের মধ্যেই আমরা গণভোট চাই।
ডা: তাহের আরো বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্যের পক্ষে। সবাই মিলে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসে সব সমস্যার একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তিনি বিএনপির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের জনগণ সব সঙ্কটের সমাধান চায়। তারা জাতীয় ঐক্য চায়। জাতীয় ঐক্যই বর্তমান সঙ্কট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।
তিনি বলেন, কোনো কোনো মহল বলেন, গণভোটে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। তাদের জবাবে আমি বলতে চাই, জাতীয় সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য গণভোটে যে টাকা খরচ হবে জাতীয় প্রয়োজনে এটা কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদীরা দেশের যে টাকা বিদেশে পাচার করেছে তা দিয়ে এক হাজারটি গণভোট করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে। তাদের এ বক্তব্যের জবাবে আমি জানাতে চাই যে, ১৯৯১ সালে যদি জামায়াত নিষিদ্ধ থাকত তাহলে কী জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারত? সেদিন যদি জামায়াত তাদের সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় না বসাত, তাহলে বিএনপি কী বর্তমান পর্যায় আসতে পারত? জবাব হলো : অবশ্যই না। বিএনপি এখন পতিত স্বৈরাচারীদের মতোই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে একই ধরনের একই ভাষায় হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে অকৃতজ্ঞতার প্রমাণ দিচ্ছে। তারা এখন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। দেশে বর্তমান যে সঙ্কট চলছে তা বিএনপিই সৃষ্টি করেছে। জামায়াত কখনো ধোঁকা, প্রতারণা ও মুনাফিকির রাজনীতি করে না। বিএনপিই বরং ধোঁকা, প্রতারণা ও অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছে।
ডা: তাহের বলেন, বিগত ৫৪ বছরে দেশে বার বার ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে তারাই ধোঁকা, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে লুটপাট করেছে, দলীয়করণ, আত্মীয়করণ করেছে। জনগণ এ অবস্থার অবসান চায়। এ অবস্থার পরিবর্তন চায় জুলাই যোদ্ধারা।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে আসছে। তারা নিজেদের সংস্কারের পিতা দাবি করছিল। কিন্তু বাস্তবে সব সময়ই সংস্কারের বিরোধিতা করছে। দুনিয়ার কোনো দেশেই নোট অব ডিসেন্টের ওপর গণভোট হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতারা জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সঙ্কট সৃষ্টির মিথ্যা অভিযোগ করছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নিজেরাই মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। জামায়াতে ইসলামী কখনো মিথ্যা বক্তব্য দেয় না। বিএনপির মহাসচিব জুলাই সনদে সই করেছেন। এখন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে গিয়ে নিজেরাই বিপদে পড়েছে। অথচ অভিযোগ করছে যে, জামায়াত তাদের বিপদে ফেলেছে। বরঞ্চ তারা নিজেরাই মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বিপদে পড়েছে। বিএনপির এক নেতা বলেছেন, তারা সংস্কার চায় না, জুলাই সনদ এবং গণভোট চায় না। আমাদের বক্তব্য হলো, জামায়াত কখন কোথায় বলেছে যে, তারা সংস্কার চায় না, জুলাই সনদ ও গণভোট চায় না। বিএনপির এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ থাকলে তা জাতির সামনে পেশ করা উচিত। মূলত তারাই এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে নিজেরাই বিপদে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, ড. ইউনূস সরকার জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় বসেছে। তার সততা, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও যোগ্যতা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু বিএনপি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারকে অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো মহলের ফাঁদে পা না দেয়ার জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় : এ দিকে আরেক অনুষ্ঠানে ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তাদের কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।
গতকাল ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৮ অক্টোবর জাতির গৌরবের একটি দিন। এই দিন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎস্বর্গ করেছে। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই চব্বিশের বিপ্লব অর্জিত হয়েছে। পুরনো ফ্যাসিবাদ আবার আসতে চাইলে আবারো লড়াই হবে; নতুন ফ্যাসিবাদের পরিণতিও বেশি ভালো হবে না।
ডা: তাহের বলেন, জুলাই সনদের বিরোধিতা করার মানে হচ্ছে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এক ব্যক্তির হাতে অসম ক্ষমতা থাকলে ফ্যাসিজমের জন্ম হয়। দশ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর আবারো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েস মানেই একনায়কতন্ত্র কায়েম করে দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তিতে রূপ দেয়া।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি (ঢাকা-৬ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) ড. আব্দুল মান্নান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, সমাজ পরিবর্তনের জন্য আদর্শিক পরিবর্তনের প্রয়োজন। নেতার পরিবর্তন নয়, নীতিরও পরিবর্তন প্রয়োজন। চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ এনে হত্যা করলেও দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। অথচ ওই সময়ে বিএনপি দলীয় মন্ত্রীরা দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ২৮ অক্টোবর বাতিলের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে শহীদ হওয়ার একটি স্মরণীয় দিন। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মুজাহিদ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে মন্ত্রী ছিলেন কিন্তু তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সেদিন তাদের ফোন রিসিভ করেননি। জামায়াতে ইসলামী তখন চারদলীয় জোটের শরিক একটি বৃহৎ দল। সেদিন বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর পাশে দাঁড়ায়নি। জামায়াত-শিবিরকে নিঃশেষ করতে তারা আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনকে সুযোগ করে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরকে শেষ নিঃশেষ করতে গিয়ে তারা নিজেরাও নিঃশেষ হয়েছে জাতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি খুন-গুমের বিচার করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের দিনে নয়, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একাত্তরের চেতনা বিক্রি না করে ১৯৯১ সালের জামায়াতকে দেখুন, ২০০১ সালের জামায়াতকে দেখুন যেই জামায়াতের সহায়তায় ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় বসেছেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় বসেছেন। মজলুম সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর অবদান বিএনপিকে অস্বীকার না করতে তিনি আহ্বান জানান।
নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, গত ৫৪ বছরে যারা দেশ শাসন করেছেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। এ কারণেই ৫ আগস্ট ঘটেছে। সামনের নির্বাচনে ৫ আগস্টের আদলে জনতার আরো একটি বিজয় হবে। তবে ভোটের আগে সরকার যেসব কাজ সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো পালন করতে হবে। না হলে শুধু ভোট হলেই জাতির কোনো লাভ হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ পেশিশক্তি ও অস্ত্র শক্তির বলে জনগণকে পরাজিত করে দেশকে হাইজাক করতে চেয়েছিল। সেই দিন গণতন্ত্র হাইজাক হয়ে ফ্যাসিবাদের যাত্রা শুরু হয়। আমরা চব্বিশের ৫ আগস্ট হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছি।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সেমিনারে আরো বক্তৃতা করেন, মেজর (অব:) রেজাউল হান্নান শাহিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা ড. খলিলুর রহমান মাদানী, সাবেক সচিব মাহবুবুর রহমান, কর্নেল (অব:) হাসিনুর রহমান, কর্নেল (অব:) জাকারিয়া, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক নুর নবী মানিক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি (ফেনী-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (চট্টগ্রাম-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান প্রমুখ।
এ গণজোয়ার ইনসাফ ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আস্থার প্রতিফলন : মুহাম্মদ শাহজাহান
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, দাঁড়িপাল্লার পক্ষে সারা দেশে আজ যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, এবং দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায়নীতি, ন্যায়বিচার ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আস্থার প্রতিফলন। এ গণজোয়ারকে আমাদের বিজয়ে পরিণত করতে হলে আবেগ নয়, প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও কৌশলের সমন্বয়ে অগ্রসর হতে হবে।
শনিবার রাতে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থানরত চকরিয়া-পেকুয়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ শাহজাহান আশা প্রকাশ করেন, ইনশাআল্লাহ, জনগণের দোয়া, নেতাকর্মীদের ত্যাগ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ পরিচালনার মাধ্যমে দাঁড়িপাল্লার এ গণজোয়ার আগামী দিনে বিজয়ে পরিণত হবে, আর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়, সত্য ও ইসলামী মূল্যবোধের রাজনীতি।
চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পেকুয়া আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আখতার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, সাবেক শিবির নেতা ড. আ. ম. ম মাসরুর হোসাইন, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আমির মাওলানা ফরিদুল আলম, শিক্ষাবিদ ড. সানা উল্লাহ, ব্যবসায়ী সরফরাজ আল নেওয়াজ চৌধুরী, অধ্যাপক মিছবাহ উদ্দীন, অধ্যাপক বাহার উদ্দিন জুবাইর, অধ্যাপক কফিল উদ্দীন, ড. কফিল উদ্দীন ফারুক, সাবেক ছাত্রনেতা মুর্শেদুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব, রেজাউল করিম প্রমুখ।



