আবদুল কাদের তাপাদার সিলেট
সিলেটে এখন থেকে এক কিকেই নাগরিকরা অভিযোগ জানাতে পারবেন অনলাইনে। জরুরি অবস্থায় কাছাকাছি থানার সাথে সরাসরি যোগাযোগও হবে মুহূর্তেই! ‘জিনিয়া (এবহরবঅ)’র প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশি সেবা অ্যাপটি ব্যবহার করে নাগরিকরা এ সুবিধা পাবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এসএমপির মোগলাবাজার থানার মখদ্দছ কমিউনিটি সেন্টারে অ্যাপটির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো: রেজ-উন-নবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো: মুশফেকুর রহমান, সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মো: মাহবুবুর রহমান ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম।
মোবাইল এ অ্যাপ, নাগরিক ও পুলিশের মধ্যে সরাসরি, দ্রুত এবং প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগ তৈরি করবে। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই থানার সহায়তা চাইতে পারবেন। অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এমনকি জরুরি অবস্থায় লাইভ লোকেশনও পাঠাতে পারবেন। একজন নাগরিক মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই পুলিশি সহায়তা পাবেন, কোনো ফোন কল ছাড়াই।
অ্যাপটির মূল ল্য হলো- নাগরিক ও পুলিশের মধ্যে সরাসরি, দ্রুত যোগাযোগ তৈরি করা, জরুরি অবস্থায় সাহায্য চাওয়ার সময় কমিয়ে আনা, অনলাইন অভিযোগ গ্রহণ ও ট্র্যাকিং সুবিধা দেয়া এবং পুলিশের সেবা ব্যবস্থাকে আরো প্রযুক্তিনির্ভর ও স্বচ্ছ করা।
জরুরি ঝঙঝ বাটন কিকে ব্যবহারকারী নিকটস্থ থানায় সাহায্য সঙ্কেত পাঠাতে পারবেন। পুলিশ ব্যবহারকারীর অবস্থান তাৎণিকভাবে দেখে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে।
অভিযোগ দাখিল (ঙহষরহব ঋওজ): নাগরিকরা সরাসরি অ্যাপ থেকেই অভিযোগ করতে পারবেন, যা থানা কর্তৃপ রিয়েল টাইমে গ্রহণ করবে।
নারী নিরাপত্তা সেকশন : নারীদের জন্য আলাদা হেল্পলাইন ও নিরাপত্তা সেবা যুক্ত থাকবে।
ফিডব্যাক ও ট্র্যাকিং : সেবা পাওয়ার পর ব্যবহারকারী তার অভিজ্ঞতা জানাতে পারবেন, এতে জবাবদিহিতা বাড়বে।
ডিজিটাল হেল্প ডেস্ক : হারানো জিনিস, ট্রাফিক সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা, ভিসা বা পাসপোর্টে পুলিশ কিয়ারেন্স সবই করা যাবে অ্যাপের মাধ্যমেই।
সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া অফিসার এডিসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমরা চাই নাগরিকরা যেন পুলিশকে ভয় নয়, ভরসা হিসেবে দেখে। জিনিয়া সেই বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের একটি ডিজিটাল উদ্যোগ।’
সিলেটের আম্বরখানার নাগরিক হাবিব আহমেদ বলেন, ‘পুলিশি সহায়তা নিতে গেলে অনেক সময় ঝামেলা হয়। যদি অ্যাপের মাধ্যমে সব করা যায়, তা হলে সেটা হবে বিশাল স্বস্তি।’



