রংপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন

ডিপ্লোমারা কেন নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার লিখতে পারবেন না?

Printed Edition

রংপুর ব্যুরো

ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার লিখতে পারবেন না কেন? এ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন রংপুর পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। সবাই চায় বড় হতে, ডিগ্রি ডিপ্লোমারা কেন পদবিতে নিচে নামতে চায়? এ ধরনের অসংখ্য প্রশ্ন আর যুক্তির দেখাচ্ছিলেন রংপুরে আন্দোলনরত পলিটেকনিক শিার্থীরা। দাবি আদায়ে মহানগরীর শাপলা চত্বর এলাকা ২ ঘণ্টা ব্লকেডের সময় দাবির সপে যুক্তি তুলে ধরেন তারা। এ সময় নগরীতে যানজটের তৈরি হয়।

গত বুধবার নগরীর শাপলা চত্বর এলাকা ব্লকেড করে দেয় শিার্থীরা। এর আগে দুপুর ১২টায় রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে একটি বিােভ মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরে জড়ো হন তারা। ব্লকের কারণে নগরীতে প্রবেশের টার্মিনাল, স্টেশন, লালবাগ, গুপ্তপাড়া এবং প্রেস কাব পর্যন্ত পাঁচটি প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিটি প্রবেশের মুখে বসে ও দাঁড়িয়ে ব্লকেড করেন শিার্থীরা। এতে দুইপাশে শত শত যাত্রী এবং যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান। শাপলা থেকে জাহাজ কোম্পানি মোড় পর্যন্ত সড়কের যানবাহন ভিন্নপথে চলাচলের চেষ্টা করে। কিন্তু টার্মিনাল, কলেজ রোড এবং স্টেশনে রোডে শত শত যানবাহন আটকে থাকে।

ব্লকেডে অংশ নেয়া রংপুর পলিটেকনিকের সিভিল বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিার্থী মমিনুল ইসলাম বলেন, আপনারা (বিএসএসি ইঞ্জিনিয়াররা) জ্ঞান অর্জন করতে করতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতে পরিণত হয়েছেন। আপনারা এত লেখাপড়া করেছেন। ৪৭, ৫২, ৬৫, ৬৬, ৭১ এবং ২৪-এর ইতিহাস জানেন; কিন্তু ডিপ্লোমার ভিত্তি কিভাবে রচিত হলো এটার ইতিহাস জানেন না। বিষয়টা কেমন হাস্যকর। আপনারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলছেন। আপনারা কি জানেন না, যে বাবার মাধ্যমে আপনারা পৃথিবীতে এসেছেন। সেই বাবাকে আপনারা অস্বীকার করছেন কিভাবে? আমরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। দশম গ্রেড আমাদের অধিকার। এখানে আপনারা হস্তপে করতে পারেন না।

বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মইনুল হোসেন মিল্লাত জানান, আমরা সুষ্ঠুভাবে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছি; কিন্তু তারা আমাদের আন্দোলনকে সন্ত্রাসী আন্দোলন আখ্যা দিয়েছে। আমাদেরকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে। সে কারণে আমরা ব্লকেডর মতো আন্দোলনে গেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।