অনৈতিক সুবিধার অভিযোগ

ফুলছড়িতে বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে অনিয়ম

Printed Edition

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে নীতিমালা উপেক্ষা ও অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় কিছু প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতেই একাধিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি উপজেলায় পর্যাপ্ত আসন ও অবকাঠামো সম্পন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে একাধিক কেন্দ্র খোলা যাবে না এবং জেলা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু ফুলছড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তার একক সিদ্ধান্তে থানাপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪২৮ জন পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি ফুলছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ১৪৪ জন পরীক্ষার্থীর জন্য আরেকটি কেন্দ্র অনুমোদন করা হয়েছে। এতে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র ভাগাভাগির নামে প্রতিষ্ঠানপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা তোলা হচ্ছে এবং এর সাথে জড়িত রয়েছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান। যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকরা বলছেন, যদি চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্য হয়, তবে কেন্দ্র হওয়া উচিত ফজলুপুর বা এরেন্ডাবাড়ীতে। ফুলছড়ি মডেলে পূর্বে পরীক্ষায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ থাকায় এবারো সেখানে কেন্দ্র হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, অনৈতিক সুবিধার অভিযোগ সঠিক নয়। চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে কেন্দ্র নিয়ে পরিচালনা কমিটির সভা করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জগৎবন্ধু মণ্ডলও কেন্দ্র স্থাপনের আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।

এমন অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষার মান ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে ন্যায্য সুযোগ থেকে।