মাহবুব আলম লিমন
মমি ইতালিতে থাকে। সেখানেই তার জন্ম। তার একটি ছোট ভাই আছে, নাম মানসিব। ভাই-বোন দুজনেই ইতালির নাগরিক। ইতালিতেই পড়াশোনা করে, পড়ালেখায় মেধাবী দুই ভাই বোন। মা গৃহিণী বাবা একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি করে শেফ কুকের। দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে একই রেস্টুরেন্টে কাজ করে। রেস্টুরেন্ট হলো কাম্পাদি ফিউরি কস্তারিয়া হস্তান্ত, নামীদামি রেস্টুরেন্ট। বসবাস করে তোর পিনা তারা এলাকায় কারি ফোর মার্কেটের পেছনে চতুর্থ তলায়। মার্কেটের পাশেই মমি মানসিবের স্কুল। বাসা থেকে স্কুলে যেতে লাগে পাঁচ মিনিট। এই স্কুলেই কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় পাস করে। সেন্তসেলি মিডিয়া ওয়ার্ল্ড একটি বিশাল মার্কেট। এর পাশে ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। মমি সাইন্সের ছাত্রী মেডিসিনের ওপর পড়াশোনা করছেন। আর ছোট ভাই মানসিব বাড়ির পাশে স্কুলেই পড়াশোনা করছে ক্লাস ফাইভে। পড়াশোনায়ও বেশ ভালো। ইতালিয়ান পড়ার পাশাপাশি রোম মসজিদে আরবি পড়ে, বাংলা পড়ে। নিয়মিত স্কুলে যায়, নিয়মিত রোম মাদরাসা মসজিদে যায়। বাবা-মা অনেক শ্রম দিচ্ছি ছেলেমেয়েদের জন্য। তাদের মানুষের মতো মানুষ করবে এটাই ইচ্ছে। মমি মানসিবদের চতুর্থ তলার নিচতলায় তিনটি বিড়াল থাকে। তিনটি বিড়ালই মেয়ে। মমি মানসিব প্রতিদিন সকালে স্কুলে যাবার বেলা কিছু ব্রেড, বিস্কুট, পিৎজা, তিনটি বিড়ালকে ভাগ করে দেয়। আর বলে বিড়াল মেয়ে তোমরা ঝগড়া করবে না। ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া কর। মমি চলে গেল কলেজে আর মানসিব চলে গেল রোম মসজিদ মাদরাসায়। মাদরাসার হুজুর বিড়ালের একটি হাদিস বললেন।
আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সা: বিড়াল অত্যন্ত ভালোবাসতেন। হুজুর বললেন, ঘরের মধ্যে বিড়াল থাকলে শয়তান ও খারাপ জিন ঘরে বাসায় প্রবেশ করতে পারে না। বিড়াল আল্লাহর জিকির ও এবাদত বন্দেগি করে। নবীজি বিড়ালকে বাটিতে দুধ পান করাতেন, আদর ও মায়া করতেন। মানসিব মাদরাসা থেকে পড়া শেষ করে বাসায় গিয়ে মমিকে হুজুরের হাদিসটি বললেন।
মমি ও মানসিব হুজুরের হাদিসটি অনুসরণ করে বিড়ালটিকে মায়া ও আদর করেন। এভাবেই চলে তাদের বিড়ালের সাথে ভালো আচরণ। বিড়াল তাদের প্রতিদিন পথ চেয়ে থাকে। কখন মমি মানসিব আসবে খাবার ও ভালোবাসা দেবে। বিড়াল মমি মানসিবের বন্ধুর মতো খেলার সাথী হয়ে মিশে আছে।



