নয়া দিগন্ত ডেস্ক
গাজায় কার্যকর যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরাইলি বাহিনী (আইডিএফ) নতুন হামলা চালিয়েছে। শনিবার আইডিএফের প্রেস সার্ভিস জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত এলাকায় ইসলামিক জিহাদ সংগঠনের একজন সদস্যকে লক্ষ্য করে ‘সুনির্দিষ্ট ও সীমিত আকারের’ হামলা চালানো হয়, যিনি ইসরাইলি সেনাদের ওপর আসন্ন সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আইডিএফ ইউনিটগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাঠামো অনুযায়ী এলাকায় মোতায়েন ছিল এবং যেকোনো প্রত্যক্ষ হুমকি প্রতিহত করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। আইডিএফ জোর দিয়ে জানায়, ‘হুমকি থাকলে সেনাবাহিনী আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
তবে ইসলামিক জিহাদ গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে ইসরাইলের দাবিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে। তবে হামলায় তাদের কোনো সদস্য নিহত হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত করেনি সংগঠনটি। রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা দেখেছেন একটি ড্রোন হামলায় একটি গাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। স্থানীয় চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়েছেন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, গাজা সঙ্কট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউস একটি ২০ দফা ‘ব্যাপক শান্তি পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে, যেখানে গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েন এবং অস্থায়ী প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের প্রস্তাব ছিল। এরপর ৯ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মিসরে আলোচনার মাধ্যমে হামাস ও ইসরাইল প্রথম ধাপে সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার অল্প সময় পরই নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ফের বাড়তে শুরু করে।
১৯ অক্টোবর রাফাহ সীমান্তের কাছে ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা সামনে আসে, যা যুদ্ধবিরতির প্রথম বড় লঙ্ঘন বলে দাবি করে আইডিএফ। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনার জন্য সরাসরি হামাসকে দায়ী করেন এবং সেনাবাহিনীকে ‘দ্রুত ও দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া’ জানাতে নির্দেশ দেন। ওই ঘটনার পর ইসরাইলি বাহিনী গাজাজুড়ে বহু লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালায়, যেখানে আইডিএফ জানায় দুই সেনা নিহত এবং আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে হামাস রাফাহর ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে জানায় যে, এটি ইসরাইলের ‘অজুহাত তৈরি’ মাত্র। পরে আইডিএফ ঘোষণা করে, সীমিত সামরিক অভিযান শেষ করে তারা পুনরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ফিরেছে। কিন্তু সর্বশেষ নুসেইরাত হামলার পর আবারো প্রশ্ন উঠেছে- চুক্তির বাস্তব প্রয়োগ আদৌ সফল হচ্ছে কি না এবং শান্তি প্রক্রিয়া টিকবে কতদিন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হতে দিতে পারে না বিশ্ব : ইউনিসেফ কর্মকর্তা
এ দিকে ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক এডুয়ার্ড বেগবেডার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি শিশুদের বেঁচে থাকা, নিরাপত্তা এবং মর্যাদার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। বিশ্ব এ যুদ্ধবিরতির যুযোগ ব্যর্থ হতে দিতে পারে না। গতকাল রোববার লাইভ রিপোর্টে আলজাজিরা জানিয়েছে, বিবৃতিতে বেগবেডার বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে। আমি শিশুদের ওপর যে মাত্রার প্রভাব দেখেছি, তা কেবল শব্দ এবং সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটি এমন একটি প্রভাব, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে থেকে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অপুষ্টি, রোগ এবং শীতকালীন ঠাণ্ডার মতো প্রতিরোধযোগ্য হুমকি থেকে শিশুদের জীবন বাঁচাতে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে দৌড়াচ্ছি।’ বেগবেদার গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশকারী সব ক্রসিং খুলে দেয়ার এবং ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের জন্য ছাড়পত্রের প্রক্রিয়া দ্রুত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন- এমন শিশুদের অবিলম্বে চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত।
গাজা অঞ্চলজুড়ে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরাইল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এ পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। ইসরাইলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সাথে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
গাজাকে ৬ কোটি টন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা দিয়েছে ইসরাইল : জাতিসঙ্ঘ
দুই বছরের যুদ্ধ শেষে গাজা এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটি এখন ছয় কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে। অঞ্চলটির মোট ভবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে ১০ অক্টোবর ভঙুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এটি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে ভয়াবহ সঙ্ঘাতের অবসান ঘটিয়ে গাজা পুনর্গঠনের পথ খুলে দিয়েছে। কিন্তু এ পুনর্গঠনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা- এ বিপুল ধ্বংসাবশেষ সরানো।
২০২৫ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রায় এক লাখ ৯৩ হাজার ভবন আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে। জাতিসঙ্ঘের স্যাটেলাইট ডেটা বিশ্লেষণ সংস্থা ইউএনওস্যাটের তথ্যমতে, এটি গাজার মোট স্থাপনার প্রায় ৭৮ শতাংশ। ২০২৫ সালের ২২-২৩ সেপ্টেম্বর তোলা গাজা সিটির ছবির বিশ্লেষণ করে জাতিসঙ্ঘ জানায়, শহরটির আরো অবস্থা। সেখানে ৮৩ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। গাজার এ ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ ছয় কোটি ১৫ লাখ টন। তুলনা করলে এটি নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ওজনের প্রায় ১৭০ গুণ এবং গাজার প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১৬৯ কেজি ধ্বংসাবশেষ জমে আছে। জাতিসঙ্ঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) তথ্যমতে, এ ধ্বংসাবশেষের দুই-তৃতীয়াংশই তৈরি হয়েছে যুদ্ধের প্রথম পাঁচ মাসে। যুদ্ধবিরতির আগের কয়েক মাসে ধ্বংসযজ্ঞ আরো বেড়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে শুধু রাফাহ ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৮০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৫ সালের আগস্টে প্রকাশিত ইউএনইপির প্রাথমিক এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এ ধ্বংসাবশেষ গাজার জনগণের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, অন্তত ৪৯ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ পুরনো ভবনের অ্যাসবেস্টস দ্বারা দূষিত হতে পারে, বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরগুলোর আশপাশে উত্তরের জাবালিয়া, মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত ও আল-মাঘাজি এবং দক্ষিণের রাফাহ ও খান ইউনিসে। এ ছাড়া অন্তত ২৯ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ শিল্পাঞ্চল থেকে আসা ‘বিপজ্জনক বর্জ্যে’ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইসরাইল যে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে, তাতে গাজায় অন্তত ৬৮ হাজার ২৮০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। এ সংখ্যা হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া, যা জাতিসঙ্ঘ নির্ভরযোগ্য হিসেবে গণ্য করে।
নিরাপত্তা নীতিতে ইসরাইলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত : নেতানিয়াহুর দাবি
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশটির নিরাপত্তাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইসরাইল নিজেই নেবে এবং কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনীকে গ্রহণযোগ্য মনে করবে, সেটিও তারাই নির্ধারণ করবে; রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করি। আন্তর্জাতিক বাহিনীকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, কোন বাহিনী আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য, তা ইসরাইলই নির্ধারণ করবে। আমরা যেমন কাজ করেছি, তেমনই ভবিষ্যতেও করব। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের অবস্থান মেনে নিয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা তা স্পষ্ট করেছেন।
ফিলিস্তিন-ইসরাইলের মাঝখানে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র চান স্টিভ ব্যানন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা ও ব্রডকাস্টার স্টিভ ব্যাননের মতে, গাজায় যুদ্ধ শেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে হলে এখন আর দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে কাজ হবে না; বরং একটি ‘ত্রিরাষ্ট্রীয় সমাধান’ প্রয়োজন। যেখানে মুসলিম ফিলিস্তিন ও ইহুদি ইসরাইলের মধ্যে থাকবে একটি ‘খ্রিষ্টান রাষ্ট্র’।
গত শুক্রবার নিজের ‘ওয়ার রুম’ পডকাস্টে ব্যানন বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার তথাকথিত ‘গ্রেটার ইসরাইল’ বা ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ধারণা বাইবেলে উল্লিখিত ভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, যা নীলনদ থেকে ফোরাত নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। সমালোচকদের মতে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং পশ্চিম তীরে দখলদার বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে নেতানিয়াহু এ পরিকল্পনাই বাস্তবে চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্যানন বলেন, ‘নেতানিয়াহুর এ গ্রেটার ইসরাইল প্রকল্প তার নিজের মুখেই বিস্ফোরিত হয়েছে- এটা ইসরাইলকেই ধ্বংস করেছে। তাই এখন তিন-রাষ্ট্র সমাধানের পথে যেতে হবে। এর একটি রাষ্ট্র হতে হবে জেরুসালেমের খ্রিষ্টান রাষ্ট্র। আমাদের পবিত্র ভূমিতে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র দরকার। এতে অন্তত আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যে সবকিছু কিছুটা গুছিয়ে যাবে।’
এর আগেও ব্যানন এমন মন্তব্য করেছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে তিনি বলেন, গাজায় শান্তি সম্ভব নয়, যদি ‘শুধু মুসলমান আর ইহুদিরাই’ এখানে থাকে। তবে কিভাবে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গঠন করা হবে বা সেটি কিভাবে অঞ্চলে স্থিতি আনবে, সে বিষয়ে তিনি কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। ব্যাননের মতে, ইসরাইল এখন ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভেসেল স্টেট বা রক্ষিত রাষ্ট্র’, আর হামাস ‘একটি ক্ষুদ্র খেলোয়াড়।’ তিনি বলেন, গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে না এদের কেউই; বরং কাতার গাজার পুনর্গঠনের অর্থায়ন করবে, আর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তুরস্ক।
তিনি আরো দাবি করেন, ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় ওয়াশিংটন প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা না বললেও, সেটির কাঠামোতে এক ধরনের ‘প্রোটো-ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের’ বা ‘আদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের’ ইঙ্গিত রয়েছে। তার মতে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র এটিকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে।



