হামজার উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত অনুশীলন

Printed Edition
অনুশীলনে নামছেন হামজা চৌধুরী।  তার সাথে রাকিব হোসেন, মেহেদী হাসান মিঠু : নাসিম সিকদার
অনুশীলনে নামছেন হামজা চৌধুরী। তার সাথে রাকিব হোসেন, মেহেদী হাসান মিঠু : নাসিম সিকদার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৪৬-এ থাকা হংকং চায়নার বিপক্ষে ১৮৪-তে অবস্থান করা বাংলাদেশের ম্যাচ। ৯ ও ১৪ অক্টোবরের এই ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই ম্যাচে জিতলে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার আশা জিইয়ে থাকবে। সে লক্ষ্যেই জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে জামাল ভূঁইয়াদের অনুশীলন। কয়েক দিন আগে এই অনুশীলন শুরু হলেও গতকাল ছিল এর বাড়তি আকর্ষণ। কারণ অনুশীলনে যোগ দিতে সকালে ইংল্যান্ড থেকে এসেছেন হামজা চৌধুরী। বিকেলেই চলে আসেন জাতীয় স্টেডিয়ামে। তাই তাকে দেখতে একটু বেশি আগ্রহই ছিল ফুটবল সংশ্লিষ্টদের। ইংলিশ লিগের লেস্টার সিটির এই ফুটবলারকে পেয়ে ফুটবলাররাও যেন বাড়তি অনুপ্রাণিত। হামজার সাথে অনুশীলনে নামার আগে দুষ্টুমি করলেন মোহামেডানের অধিনায়ক ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান মিঠুসহ অন্যরা। ফুটবলাররা দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করতে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে একটি অংশ মাঠে। অপর গ্রুপ প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই ফাঁকে হামজাকে ছবি তোলার প্রস্তাব দেন গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। এরপর তার সাথে যোগ দেন বড় ভাই অপর গোলরক্ষক সুজন হোসেনও। মুহূর্তেই এ তালিকায় যোগ দেন মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়ও।

সতীর্থদের এই চাহিদা মিটিয়ে নেমে যান অনুশীলনে। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য জাম্প ট্রেনিং করেছেন। এরপর বাকি ট্রেনিং। আজ কানাডা থেকে আসবেন শমিত শোম। তিনি যোগ দিলে এবারের ক্যাম্পে প্রবাসী ফুটবলারের সংখ্যা হবে সাতজন। হামজা ও শমিত ছাড়াও আছেন জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী, ফাহামিদুল ইসলাম, জায়ান আহমেদ ও সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানী। গতকাল বাংলাদেশে এসেই ভিডিওবার্তায় জানান, ইনশা আল্লাহ আমরা সফল হবো হংকংয়ের বিপক্ষে। সবাই আমাদের সমর্থন দেবেন।

তবে হামজা আগমনের দিনেও মাঠ উইথ বলে অনুশীলন করেননি তপু বর্মণ। এই ডিফেন্ডার স্প্যানিশ ফিজিও মইসেস ক্যাস্টিলো ইসিজার সাথে আলাদা রানিং করেছেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান তথ্য দেন হ্যামেস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছেন বসুন্ধরা কিংসের এই স্টপার ব্যাক। ফর্টিস এফসির সাথে ম্যাচের সময় চোট পান তিনি। এখনো ফিট হতে পারেননি। হাতে সময় আর মাত্র দুই দিন। এ সময়ে তিনি যদি ফিট না হন সে ক্ষেত্রে তার খেলা হবে না হংকংয়ের বিপক্ষে। তখন কোচ হাভিয়ার কাবরেরাকে বিকল্প খুঁজতে হবে তপুর স্থানে। হয়তো ভারতের বিপক্ষে তপুর বিকল্প খেলা জুনিয়র শাকিল আহাদ তপু, নতুন ডাক পাওয়া শান্ত বা মেহেদী হাসান মিন্টু হতে পারেন কোচের পছন্দ।

বাংলাদেশ ও হংকংয়ের ৯ তারিখের ম্যাচের সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। জাতীয় স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে গ্যালারির দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২২ হাজার। অন্য দিকে বাংলাদেশ অ্যাওয়ে ম্যাচে হংকংয়ের সাথে যে ম্যাচ খেলবে সেই ম্যাচেরও সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ভারতের সাথে আগের ম্যাচে হংকংয়ের দর্শকদের যে আগ্রহ ছিল ওই ম্যাচে জয়ের পর এখন হামজাদের বিপক্ষে ম্যাচ। তাই এবার আরো বেশি আগ্রহ হংকং চায়নার দর্শকদের। ৫০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। অনলাইনে এই টিকিট শেষ হয়ে সময় নিয়েছে দেড় ঘণ্টা। নবনির্মিত কাই তাক স্টেডিয়ামে এর আগে হংকং ও ভারতের ম্যাচ হয়েছিল। সে ম্যাচের মাঠে বসে হংকংয়ের খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন ৪২ হাজার ৫৭০ জন দর্শক। কিন্তু হামজা ক্রেজ ও নিজ দলের গ্রুপে শীর্ষে অবস্থানই স্বাগতিকদের আরো বেশি করে মাঠমুখী হতে অনুপ্রাণিত করছে।