কুমিল্লা প্রতিনিধি
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জুলাই বিপ্লবে শহীদ পরিবারের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা মন খারাপ করবেন না, আপনারা গর্বিত মা-বাবা। আপনাদের সন্তানদের আত্মত্যাগে ৩৬ জুলাই যে বিপ্লব হয়েছিল, তা শুধু বাংলাদেশেই না; সারা বিশ্বে আলোচিত হবে শতাব্দীর পর শতাব্দী। গতকাল সোমবার সকালে কুমিল্লার নবাব ফয়েজুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আমার দেশ পাঠক মেলার আয়োজনে ৩৬ জুলাইযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন আমাদের তরুণদের এই বিপ্লব ইউনিক ছিল। বাংলাদেশের মাটিতে এই আন্দোলনের জন্ম হয়েছে। কোনো বিদেশী শক্তির মদদ ছিল না এই আন্দোলনে। তরুণদের হাতে কোনো অস্ত্রও ছিল না; তবুও তারা ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে সফল হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আমার দেশের সাংবাদিকের ওপর যে হামলা হয়েছে, এতে আমি খুবই মর্মাহত। যখন আমাকে হাসিনা সরকারের ডিবি পুলিশ কুষ্টিয়া নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে সেই দিন যে কষ্ট পেয়েছিলাম, রোববারের সাংবাদিক নির্যাতনের খবরে তার চেয়েও বেশি কষ্ট পেয়েছি। এ দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লেখা অব্যাহত থাকবে। আমরা কখনো আপসে বিশ্বাস করি না। আমি শেখ হাসিনাপুত্র জয়ের দুর্নীতির সংবাদও নির্ভয়ে ছাপিয়েছিলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমার দেশ পাঠক মেলা কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা: আরিফ মোর্শেদ। আমার দেশ কুমিল্লা প্রতিনিধি এম হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. সোলায়মান, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মু. শফিকুল আলম হেলাল, জাতীয় নাগরিক পার্টির কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম, এ বি পার্টি কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক দুলাল, আমার দেশ পাঠক মেলা কুমিল্লা জেলা শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মনির।
জুলাই আন্দোলনে শহীদ হামিদুর রহমান সাদমানের মা কাজী শারমিন আক্তার কান্নারত অবস্থায় তার বক্তব্যে জুলাই গণহত্যার বিচার দাবি করেন। আহতদের চিকিৎসা করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের সম্মাননা স্মারক ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।