খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার নামে ডাকা অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার তাদের ফেসবুক পেইজে দেয়া এক ঘোষণায় ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। গতকাল শনিবার সকালে জুম্ম ছাত্র-জনতার ফেসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘স্থগিত অবরোধ’ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুম্ম ছাত্র-জনতা, জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, শহীদদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিকসহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় রেখে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত ‘স্থগিত অবরোধ’ কর্মসূচি আপাতত প্রত্যাহার করা হলো। তবে অতি দ্রুত ৮ দফা দাবি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন না হলে, আরো কঠোর, ব্যাপক ও অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা। উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পরদিন সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে (১৯) আটক করে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের ডাক দেয় জুম্ম ছাত্র জনতা।
শুরুর দিকে এর নের্তৃত্বে উক্যনু মারমা নামে এক যুবক থাকলেও খাগড়াছড়ি সদরে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের পর এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, ব্যক্তিগত কারণে উক্যানু মারমা আর এই আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে যুক্ত থাকছেন না। তবে আন্দোলন চলমান থাকার ঘোষণাও দেয়া হয় একই পোস্টে। কে বা কারা এর নেতৃত্বে তা জানানো হয়নি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে সহিংসতা হয়। পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারায় ১৪৪ ধারা অমান্য করে অবরোধের সমর্থনে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা চালানো হয়। এতে গুইমারায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন নিহত হন এবং সেনা, বিজিবি, পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। গুইমারার রামসু বাজারসহ আশপাশের এলাকায় বহু দোকানপাট, বসতবাড়ি ও সরকারি অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।



