এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা : বোয়িং ও হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা

Printed Edition

বিবিসি

ভারতের আহমদাবাদে বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১-এ নিহত চার যাত্রীর পরিবার মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক বোয়িং এবং যন্ত্রাংশ নির্মাতা হানিওয়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার সুপিরিয়র আদালতে মামলা দায়ের করেছে। ১২ জুনের ওই দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হন, যা ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের জ্বালানি সুইচের নকশাগত ত্রুটি এবং কোম্পানিগুলোর অবহেলা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, কারণ সুইচগুলো ‘রান’ থেকে ‘কাট-অফ’ অবস্থানে চলে গিয়েছিল।

২০১৮ সালে মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশনায় বোয়িংয়ের জ্বালানি সুইচের লকিং মেকানিজম পরীক্ষা করার সুপারিশ করেছিল, তবে তা বাধ্যতামূলক ছিল না। মামলার বাদিদের দাবি, বোয়িং ও হানিওয়েল ঝুঁকির বিষয়ে অবগত থাকলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি এবং এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্কও করেনি।

মামলায় বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের অনিবার্য সর্বনাশ ঠেকাতে হানিওয়েল ও বোয়িং কি করেছে? কিছুই না।’ বাদিরা অভিযোগ করেছেন, কোম্পানিগুলো একটি সাধারণ পরামর্শকে ঢাল বানিয়ে চুপচাপ বসে ছিল, অথচ তাদের উচিত ছিল সুইচগুলোর নকশা পুনর্বিবেচনা এবং বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা পরীক্ষা নিশ্চিত করা।

বিমানটির থ্রোটল কন্ট্রোল মডিউল ২০১৯ ও ২০২৩ সালে দুইবার পরিবর্তন করা হয়েছিল, যেখানে জ্বালানি সুইচও অন্তর্ভুক্ত। মামলায় নিহতদের পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করছে টেক্সাসভিত্তিক ল্যানিয়ার ল’ ফার্ম। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ২০২৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।