নিজস্ব প্রতিবেদক
নারী সহকর্মীর সাথে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট স্টুয়ার্ড জিসান আহমেদ ছাকিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো: গোলাম মোস্তফা জানান, একটি মামলার ওয়ারেন্টভভুক্ত আসামি জিসান আহমেদ ছাকিনকে র্যাব গ্রেফতারের পর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে। জানা গেছে, গ্রেফতার ছাকিন এরআগেও ওই ‘নারী সহকর্মীর সাথে ছলচাতুরির মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন’, ‘গোপনে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি’, ‘চাকরি দেয়ার প্রলোভনে একাধিক নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক’, ‘অতিরিক্ত মদপান করে ফ্লাইটে মাতাল হয়ে যাত্রীর গায়ে খাবার ফেলে দেয়াসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
এক দিকে আদালতে মামলার কার্যক্রম, অন্য দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা বিভাগের তদন্ত চলমান রয়েছে ছাকিনের বিরুদ্ধে। এত সব অভিযোগ ও তদন্ত থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনো চাকরিতে বহাল রয়েছেন, যা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ছাকিনের সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ের কথা চলছিল। একপর্যায়ে পরিবারের সম্মতিতে তার সাথে এঙ্গেজমেন্ট হয়। এরপর ছাকিন ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে জোরপূর্বক এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর সেই ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম এবং আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব ও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এমনকি ওই নারীর ইমেইল ও ইনস্ট্রাগ্রাম হ্যাক করে ছাকিন তার মোবাইলে নিয়ে ওই ছবিসহ ও ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হলে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আত্মীয়স্বজনদের মাধ্যমে সমস্ত ভিডিও ও স্ক্রিনশর্ট সরিয়ে ফেলার কথা বলে জামিনে মুক্ত হন। জামিনে বেরিয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছাকিন। এরপর এক কাজীর সহযোগিতায় ভূয়া কাবিননামা তৈরি করে স্ত্রী দাবি করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। ছাকিন ও কাজীসহ অন্যদের বিরুদ্ধেও মামলা করলে আদালত ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। ওই মামলায় মঙ্গলবার র্যাব তাকে গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করেছে।



