রানার্স আপ থেকে নবমে ‘এ’ দল

Printed Edition

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে টপ অ্যান্ড টি-২০ প্রতিযোগিতায় গতবার রানার্স আপ হয়েছিল বাংলাদেশ। আর এবার একই আসরে ১১ দলের মধ্যে নবম স্থানে থেকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিলো নুরুল হাসান সোহান বাহিনী। বাংলাদেশ দলে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেট খেলা একাধিক ক্রিকেটার ছিলেন। পুরো দলে মাত্র দুয়েকজনের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নেই। কারো কারো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। অথচ তারাই কি না অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকাডেমি দলগুলোর কাছে করুণ পরাজয় বরণ করেছে।

অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমির বিপক্ষে সাত উইকেটের হার দিয়ে টপ অ্যান্ড টি-২০তে যাত্রা শেষ করল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আগেই পাঁচ ম্যাচে মাত্র দু’টিতে জিতে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল। শেষ ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতা ও জটিল সমীকরণের। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে চার উইকেটে ১৭৫ রান করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাবে খেলতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্ট্রাইকার্স।

টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজে ‘এ’ দলের যাত্রাটা ছিল উত্থান-পতনে ভরা। শুরুর দিকের ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং অর্ডারের অস্থিরতা ও উইকেট হারানোর প্রবণতা থাকলেও ঘুরেও দাঁড়িয়েছিল সোহানের দল। তবে ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে ৭৯ রানের হার দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৩২ রানে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে পার্থ স্কোর্চার্সের অ্যাকাডেমির কাছে হারে পাঁচ উইকেটে। চতুর্থ ম্যাচে নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের বিপক্ষে ২২ রানের জয়। পঞ্চম ম্যাচে মেলবোর্ন স্টার্স অ্যাকাডেমির তিন উইকেটে হার। শেষ ম্যাচে সবচেয়ে বড় সাত উইকেটের হার দিয়ে ষোলোকলা পূর্ণ হলো বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২৩ রানের দারুণ জুটি গড়েন স্ট্রাইকার্সের দুই ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হার্ভে ও জ্যাক উইন্টার। ১৩ ওভারেই ১২০ পেরিয়ে যায় স্ট্রাইকার্স। উইন্টারকে আউট করেন মৃত্যুঞ্জয়। এরপর জোড়া উইকেট নিয়েছেন সাইফ। একপ্রান্ত আগলে রেখে স্ট্রাইকার্সকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হার্ভে এবং ৫৩ বলে সেঞ্চুরিও তুলে নেন। তাতেই বড় জয় নিশ্চিত হয় অ্যাডিলেডের।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নাইম শেখ ও জিসান আলম মিলে তোলেন ৪৮ রান। এরপর সাইফ হাসানকে নিয়ে আরো ৩৯ রান যোগ করেন জিসান। এই জুটির পথে ৩৯ বলে ৫০ রান করে আউট হন জিসান। আফিফ ও ইয়াসির পঞ্চম উইকেটে ২৯ বলে ৭০ রানের জুটিতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায়। টুর্নামেন্টে জিসান ছয় ম্যাচে দুই ফিফটিতে ২০৮ রান করেন ১৩৮.৬৬ স্ট্রাইক রেটে। আফিফ সমান ম্যাচে করেছেন ১৮৬ রান। এ ছাড়া সাইফ হাসান ১৩২, সোহান ১১৫ রান করেন। স্পিনার রাকিবুল ছয় ম্যাচে ১৬.১০ গড়ে ১০ উইকেট পেয়েছেন। হাসান মাহমুদ পেয়েছেন ৮ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ‘এ’: ১৭৫/৪ (জিসান ৫০, নাঈম ১৫, সাইফ ১৫, আফিফ ৪৯*, সোহান ৬, ইয়াসির ২৫*; জ্যাকবস ৩/৩৩, ওয়াদিয়া ১/২১)।

অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমি : ১৮.১ ওভারে ১৭৯/৪ (হার্ভি ১০২*, উইন্টার ৩৫, নিলসেন ৩, ও’কনেল ৬, ম্যানেন্টি ২৫*; সাইফ ২/২৮, মৃত্যুঞ্জয় ১/৩২)।

ফল : অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স সাত উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা : ম্যাকেঞ্জি হার্ভি।