ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৩৪, মৃত্যু ১

Printed Edition

নিজস্ব প্রতিবেদক

একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৩৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে একজনের। চলতি আগস্টে গতকাল সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা জুলাই মাসের মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক। জুলাই মাসে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সাধারণত জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসটি বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সিজন। এই তিন মাসে বাংলাদেশে সর্বাধিক বৃষ্টি হয় এবং এই তিন মাসে ডিম থেকে লার্ভা হওয়ার মতো অনুকূল তাপমাত্রাও থাকে। সে কারণে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়।

গতকাল সকাল পর্যন্ত যে ৪৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালগুলোতে ১৩২ জন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে ৯৩ জন। উত্তর সিটির হাসপাতালে ৩৯ জন। এর বাইরে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ৭৮ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৬২ জন, খুলনা বিভাগে ৩২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন। মৃত্যুবরণকারী ডেঙ্গু রোগীটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং তিনি ছিলেন ২৭ বছরের নারী। তিনি মঙ্গলবাড়ি এলাকা থেকে এসেছেন। চলতি বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০২ জন।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশা তথা সব ধরনের মশা নিয়ন্ত্রণে যে কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্নের উত্থাপিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো খুব কাজ করে না। কাজ করলে মশা নিয়ন্ত্রণে আসতো। কীটতত্ত্ববিদরা বলেন, এবার সময় এসেছে এডাল্টিসাইড অথবা লার্ভিসাইডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কীটনাশকের নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার। বাইরের দেশে যেসব কীটনাশক উৎপাদন হয় সেগুলো সেসব দেশের মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি। বাংলাদেশে সেসব কীটনাশক কতটুকু কাজ করে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আবার যে কিটনাশক আনা হয় সেগুলো বাংলাদেশের পরিবেশে কাজ করে কি না তাও নতুন করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এ ধরনের মতামত দিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গোলাম ছারওয়ার। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, বাংলাদেশে যেসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলোকে নতুন করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে এগুলো কাজ করে কি না। তিনি বলেন, বিদেশে তৈরি হয় বলেই বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সেগুলো কাজ নাও করতে পারে।