যুক্তরাষ্ট্রে মুনার ৩ দিনের বার্ষিক মহাসম্মেলন শেষ হয়েছে

Printed Edition
যুক্তরাষ্ট্রে মুনার বার্ষিক মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অতিথিরা : নয়া দিগন্ত
যুক্তরাষ্ট্রে মুনার বার্ষিক মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অতিথিরা : নয়া দিগন্ত

আবু সাবেত, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুসলমানদের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার (মুনা) তিন দিনব্যাপী ৮ম বার্ষিক মহাসম্মেলনে তৃতীয় দিনে ‘বিশ্বাসের তরঙ্গ প্রভাব : বৈচিত্র্যময় সমাজে ইসলামের ক্রমবর্ধমান প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই আলোচনায় অংশ নেন বিজ্ঞ ইসলামিক আলোচকরা। আলোচনায় বৈচিত্র্যময় সমাজে ইসলামের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ আলোচনার মধ্য দিয়ে মুনা’র তিন দিনব্যাপী মহাসম্মেলন শেষ হয়েছে।

‘বিশ্বব্যাপী ধর্ম প্রচারে ইসলামের আলোকবাহকরা’-এ স্লোগানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ার কনভেনশন সেন্টারে স্থানীয় সময় শুক্রবার ( ৮ আগস্ট ) দুপুরে জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ সম্মেলন। এতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন।

সম্মেলনে আলোচকরা বলেন, আজকের পৃথিবী ক্রমেই বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে জাতি, সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের রঙিন মিশ্রণে। এই বহুত্ববাদী পরিবেশে ইসলাম তার মূল্যবোধ ও মানবিক শিক্ষার মাধ্যমে অনন্য প্রভাব বিস্তার করছে। ইসলামের মূল শিক্ষা ন্যায়, সমতা, দয়া ও পরস্পরের প্রতি সম্মান শুধু মুসলিম সমাজেই নয়, বরং ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে বলে মনে করেন তারা। তারা বলেন, মসজিদগুলো শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং মানবিক সেবার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করছে। খাদ্য বিতরণ, শীতবস্ত্র সংগ্রহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এসব উদ্যোগ ভিন্ন ধর্মের মানুষের মনেও ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঞ্চার করছে। তরুণ প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলামের শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এভাবে, ছোট ছোট সৎকর্ম ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া ধীরে ধীরে বড় পরিবর্তনের তরঙ্গ সৃষ্টি করছে। এই প্রভাব শুধু ধর্মীয় চর্চায় সীমাবদ্ধ নয়; বরং আন্তঃধর্মীয় বোঝাপড়া, সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ও সামাজিক ঐক্য গঠনের ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

শেষ দিনের আলোচনায় অংশ নেন-মুনার সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ, হামিদ হোসাইন আজাদ, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. আলতাফ হোসাইন, ইমাম দালোয়ার হুসাইন, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ, মনজের তালেব, ড. আসিফ হিরানি, শেখ মোহাম্মদ এলশিনাউই ও শেখ আব্দেল রাহমান মারফি।