ফের সন্দেহভাজন নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা : নিহত ৬

Printed Edition

রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে আবারো একটি সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে হামলা চালিয়েছে, যেখানে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শুক্রবার এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানান, নৌযানটি সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠী ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ পরিচালিত ছিল এবং এটি আন্তর্জাতিক নৌসীমায় মাদক পাচারের পথে চলছিল।

হেগসেথ আরো বলেন, এই অভিযান ছিল রাতের বেলায় পরিচালিত প্রথম হামলা, যেখানে ছয়জন ‘নারকো-সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি। তিনি একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে সমুদ্রে ভাসমান একটি নৌযানে ক্ষেপণাস্ত্র সদৃশ বস্তু আঘাত হানার পর তা বিস্ফোরিত হতে দেখা যায়।

এ হামলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের দশম হামলা। এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি না, তবে স্থল অভিযান শুরু হবে। কংগ্রেসকে বিস্তারিত জানানো হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে কয়েক হাজার সেনা, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস গেরাল্ড আর ফোর্ডও পাঠানো হয়েছে।

ভেনিজুয়েলা এই পদক্ষেপকে ‘আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং আমাদের তেলের নিয়ন্ত্রণ নিতে যুদ্ধের অজুহাত সাজাচ্ছে। ওয়াশিংটন মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান ও অপরাধী গোষ্ঠীর সাথে যোগসাজশের অভিযোগ এনে তার মাথার দাম পাঁচ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে।

তবে এই হামলাগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। আইন বিশেষজ্ঞ ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন।