খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের (পিসিএনপি) নেতারা বলেছেন, খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যা, দমন, নিপীড়নের মাধ্যমে তারা পাহাড়কে আবারো অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তারা বলেন, বর্মাছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন ক্যাম্প পাহাড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার এক সময়োপযোগী পদক্ষেপ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ইউপিডিএফের কিছু মুখপাত্র ও তাদের গোষ্ঠীগত সমর্থকরা মিথ্যা প্রচারণা ও প্রপাগান্ডা চালিয়ে সেনাবাহিনীর এ পদক্ষেপকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
গতকাল খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পাহাড়ের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব কথা বলেন। পিসিএনপি নেতারা বলেন, বর্মাছড়ির যে স্থানে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে তা রাষ্ট্রের খাস বনভূমি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ তা বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেনা ক্যাম্প স্থাপন কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি শান্তি, নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থে নেয়া রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর কবির বলেন চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির সিঙ্গীনালায় এক উপজাতি মেয়েকে কথিত ধর্ষণের নামে মিথ্যা বানোয়াট তকমা লাগিয়ে নিরীহ পাহাড়ি বাঙালি জনগোষ্ঠীর মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এবং এতে উভয় সম্প্রদায়ের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর পূজা-অর্চণায় গিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ১৪-১৫ বছরের এক কিশোরী ত্রিপুরা মেয়েকে তাদের স্বজাতি কর্তৃক ধর্ষিত হয় এবং চারজন ত্রিপুরা ধর্ষককে ইতোমধ্যে প্রশাসন গ্রেফতার করেন।
গত কিছু দিন আগেও একজন চাকমা সম্প্রদায়ের স্কুল শিক্ষিকা খাগড়াছড়ি আলুটিলা বেড়াতে গেলে তাকে এক ত্রিপুরা ধর্ষক অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে।
প্রশাসনকে দেয়া ঐ স্কুল শিক্ষিকার স্বীকারোক্তি সবাই অবগত হয়েছেন। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিসিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি মো: আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আনিসুজ্জামান ডালিম, মহিলা পরিষদের সভাপতি সালমা আহমেদ মৌ, খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মো: লোকমান হোসেন, সহসভাপতি মহিউদ্দিন মাহী, জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোকতাদের হোসেন প্রমুখ।



