নয়া দিগন্ত ডেস্ক
কুমিল্লা সদর, কুমিল্লার দাউদকান্দি ও নোয়াখালীর হাতিয়ায় শনিবার পৃথক অভিযানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ২৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লøা প্রতিনিধি জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় বিভিন্ন স্থানে রাতভর অভিযান চালিয়ে আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগর ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক মাহাবুব আলম পল্লব, উত্তর রামপুরের শরিফ আহমেদ মজুমদার সোহাগ, লালবাগের হানিফ চৌধুরী, সাওড়াতলীর দেলোয়ার হোসেন, বলতলীর মহিবুল্লাহ আপন, চাঙ্গিনীর জুয়েল, দিশাবদরের দেলোয়ার, গাবতলীর জসিম উদ্দিন, মহেষপুরের ফরিদ, বৈষখলার সজিব, গোয়ালমথনের মোহাম্মদ আলী, ধনপুরের জানে আলম লোটাস, আলেখারচরের নুরুল ইসলাম রানা, খিলতলীর মোবারক, বালুতুপার আব্দুল আজিজ সজিব, নাজমুল হক, বরুড়া উপজলার ইলিয়াস, লালমাই উপজেলার সাদ্দাম হাসন মজুমদার, চঙ্গাহাটার নোমান ও বুড়িচং উপজলার আব্দুল কাদের। দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম জানান, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগার পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, শনিবার রাতে অভিযানে গ্রেফতার হয় তিন নেতা। তারা হলেন মনির হোসেন (৫২), সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা কমিটির সদস্য। তিনি জিংলাতলী ইউনিয়নের চরচারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মাসুদ রানা (৩৮), ছাত্রলীগের কর্মী, দক্ষিণ পেন্নাই গ্রামের বাসিন্দা। জুয়েল (৪৬), হাটচান্দিনা গ্রামের রুসমত আলীর ছেলে। থানার ওসি বলেন, নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, রাত ৯টার দিকে পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পুলিশ জানায়, আটক রবিয়ল দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার লক্ষিদিয়া এলাকার এমপির পোলসংলগ্ন স্থানে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপনে লোক জড়ো করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। স্থানীয়রা জানান, রবিয়ল সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থের জোগানদাতা হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, আটক রবিয়লের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে এবং তাকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।



