নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সাবেক এমপিসহ গ্রেফতার ৮

জুলাইয়ে গৃহকর্মী হত্যায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

Printed Edition

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলসহ নাশকতার পরিকল্পনা ও অর্থায়নের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাদ্দাম হোসেন পাভেলকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আরো সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান। এ দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লিজা নামে এক গৃহকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সুমন নামে এক যুবলীগের নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তিনি পল্টন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি।

ডিবির অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো- পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: তানজিল হোসেন অভি, বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আনিসুর রহমান হাওলাদার, বাউফল উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ কে এম খোরশেদ আলম, ঢাকার বংশাল থানার ৩২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মো: দেলোয়ার হোসেন বাবলু, উত্তরা পূর্ব ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন ভূঁইয়া, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো: কায়কোবাদ ওসমানী এবং মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার খিতিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: আনোয়ার হোসেন। ডিএমপি কর্মকর্তা মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করে ডিবির বিভিন্ন টিম। তাদের সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড ও হামলার সাথে জড়িত থাকায় যুবলীগ নেতা সুমনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুমনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার জাফরাবাদে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর চামেলীবাগ এলাকায় ভাড়া থাকতেন। গত বছরের ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে হামলা চালায় যুবলীগের কর্মীরা। ওই হামলায় রমনার শান্তিনগর এলাকার কানিফা টাওয়ারে অবস্থানরত গৃহকর্মী লিজা আক্তার গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ জুলাই লিজার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় নিহতের পরিবার গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় সুমনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।