আফিফের হ্যাটট্রিক নাঈম ও রনির সেঞ্চুরি

Printed Edition
তিন এলবিডব্লিউতে হ্যাটট্রিক করা আফিফ
তিন এলবিডব্লিউতে হ্যাটট্রিক করা আফিফ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আফিফ হোসেন ধ্রুব বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ ছয় উইকেট নিয়েছেন। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। এ দিকে শততম টেস্টে সামনে রেখে জাতীয় লিগ খেলতে নেমে রান পাননি মুশফিকুর রহীম।

খুলনা-বরিশাল

জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৭তম আসরে প্রথম হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন খুলনা বিভাগের স্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুব। হ্যাটট্রিকসহ ছয় উইকেট নেয়ায় দ্বিতীয় দিন শেষে চাপে পড়েছে বরিশাল বিভাগ। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন আফিফ। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক নেয়া ১৯তম বাংলাদেশী বোলার হলেন আফিফ। এর আগে ইলিয়াস সানি, সোহাগ গাজী ও মোহাম্মদ আশরাফুলের দু’টি করে হ্যাটট্রিক আছে। ২০১৮ সালের এনসিএলের আসরে রাজশাহীর বিপক্ষে আফিফ সাত উইকেট নিয়েছিলেন ৬৬ রানে, যা এখনো তার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার।

শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করেছিল খুলনা বিভাগ। বাকি এক উইকেটে মাত্র এক রান যোগ করে ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। বরিশালের রুয়েল মিয়া ও মইন খান তিনটি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে খুলনার ৩১৩ রানের জবাবে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে বরিশাল। ১৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে চার উইকেটে ১১৯ রান করেছে বরিশাল। ছয় উইকেট হাতে নিয়ে ৬৮ রানে পিছিয়ে বরিশাল। ইফতেখার হোসেন ৪০ ও ফজলে মাহমুদ ৩২ রানে আউট হন। শামসুর রহমান ২৪ ও তাসামুল হক তিন রানে অপরাজিত আছেন। নাহিদুল ইসলাম দু’টি উইকেট নেন।

জবাবে আফিফের স্পিন ঘূর্ণিতে ১২৫ রানে সাত উইকেট হারায় বরিশাল। ৪২তম ওভারের প্রথম তিন বলে বরিশালের শামসুল ইসলাম অনিককে ২, ইয়াসিন আরাফাত মিশুকে এবং রুয়েল মিয়াকে খালি হাতে শিকার করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আফিফ। তিনজনই এলবিডব্লিউ। ১০.৫ ওভার বল করে ৩১ রানে ছয় উইকেট নেন আফিফ।

চট্টগ্রাম-রাজশাহী

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন চট্টগ্রামের হাসানের দারুণ বোলিংয়ে ১৯৬ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। প্রথম দিন দুই উইকেট নেয়ার পর গতকাল নেন চার উইকেট। ১৮.৪ ওভার বল করে মোট ৩৯ রানে ছয় উইকেট নেন। প্রথমে শ্রেণীর ক্রিকেটে এই নিয়ে ১৪ বারের মতো ইনিংসে পাঁচ বা ততধিক উইকেট নিলেন বাঁ হাতি স্পিনার হাসান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৩৮ রানে এগিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। হাতে রয়েছে ছয় উইকেট। পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৫১ বলে ৫১ রান করে আউট হন প্রথম ইনিংসে ১২৭ রান করা ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ইয়াসির আলি ২৬ ও ইরফান শুক্কুর ১৮ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে ১২৯ রান করেছিলেন ইয়াসির। রাজশাহীর হয়ে তিন উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা-রংপুর

ঢাকার করা ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে আট উইকেটে ৩০৮ রান করেছে রংপুর। ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর।

সিলেট-ময়মনসিংহ

সিলেটের বিপক্ষে ৪০১ রানে থেমেছে ময়মনসিংহের ইনিংস। দলটির হয়ে আগের দিন সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। আজ সে পথে হাঁটলেন রনি। ১০৭ রান করেন এই বাঁ হাতি পেসার। জবাবে পাঁচ উইকেটে ১৯৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। পাঁচ উইকেট হাতে রেখে ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা। নিজ বিভাগ ছেড়ে সিলেটের হয়ে নেমে মুশফিক ২৬ বলে করেন ২০ রান। ময়মনসিংহের হয়ে ৬৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন বাঁ হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।